ঢাকা, সোমবার   ২১ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

কী করবে এখন গ্রামীণফোন?

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২৩:২৫, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০

Ekushey Television Ltd.

বাংলাদেশে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির কাছে বকেয়া টাকার মধ্যে গ্রামীণফোনকে সোমবারের মধ্যে এক হাজার কোটি টাকা পরিশোধের আদেশ দিয়েছেন সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ। শীর্ষস্থানীয় এ মোবাইল ফোন কোম্পানিটি বলেছে, রিভিউ পিটিশনের মাধ্যমে তারা প্রত্যাশিত ফলাফল পায়নি। কিন্তু আদালতের আদেশ অনুযায়ী টাকা পরিশোধ করা না করার প্রশ্নে কোম্পানিটি কিছু বলেনি। খবর বিবিসি’র।

অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, এই সময়ের মধ্যে টাকা পরিশোধ করা না হলে সরকার পক্ষ থেকে তারা গ্রামীণফোনে প্রশাসক নিয়োগের বিষয় আদালতে উত্থাপন করবেন। বিটিআরসি অডিট বা নিরীক্ষার পর গ্রামীণফোনের কাছে সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকা পাওনা বলে দাবি করেছিল।

২৪ ফেব্রুয়ারি সোমবারের মধ্যে বিটিআরসির পাওনার এক হাজার কোটি টাকা পরিশোধের আপিল বিভাগের আদেশের ব্যাপারে গ্রামীণফোন তিনটি বাক্যের একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। তাতে কোম্পানিটি বলেছে, আপিল বিভাগের আদেশের বিষয়ে তারা অবগত। রিভিউ আবেদনের মাধ্যমে তারা প্রত্যাশিত ফলাফল পায়নি। আর শেষবাক্যে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এই মুহুর্তে তাদের কোনো মন্তব্য নাই।

তবে আদালতের দেয়া সময়সীমার মধ্যে টাকা পরিশোধের প্রশ্নে গ্রামীণফোন কোনো বক্তব্য দেয়নি। 

অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেন, ‘আদালতের নির্দেশ না মানলে তখন আমরা প্রার্থনা করবো আইনের বিধান অনুযায়ী প্রশাসক নিয়োগের। শেষমুহুর্তে এসে তারা বলছেন যে, তাদের কিস্তিতে পরিশোধের সুযোগ দেয়া হোক এবং সময় আরও বাড়ানো হোক। আদালত তখন বলেছে, তাদের কোনো কর্মকাণ্ডে মনে হয় না যে তারা তিন মাসের মধ্যে টাকা পরিশোধের চেষ্টা করেছে, এবং তাদের হাবভাব দেখে মনে হচ্ছে, আদালতের ক্ষমতা সম্পর্কে তাদের কোনো ধারণা নাই।’

আপিল বিভাগের আদেশটি হচ্ছে, সোমবারের মধ্যে এক হাজার কোটি টাকা দেয়া হলে তারপর আদালত গ্রামীণফোনের রিভিউ আবেদনের শুনানি করবে । বিটিআরসির পাওনা সাড়ে ১২ হাজার কোটি টাকা পরিশোধের ক্ষেত্রে গ্রামীণফোন অনেক দিন ধরেই দর কষাকষি করছিল। এর বিরুদ্ধে কোম্পানিটি মামলা নিয়ে জজ কোর্ট এবং হাইকোর্ট পর্যন্ত গিয়েছিল। হাইকোর্ট বিটিআরসির পাওনার এই দাবিকে স্থগিত করেছিল।

কিন্তু গত বছরের নভেম্বরে সরকার এবং বিটিআরসি আপিল বিভাগের আশ্রয় নিলে তখন আদালত হাইকোর্টের স্থগিতাদেশ বহাল রেখে বিটিআরসির পাওনার মধ্যে গ্রামীনফোনকে দুই হাজার কোটি টাকা তিন মাসের মধ্যে দিতে বলেছিল। এই সময়সীমা শেষ হওয়ার এক সপ্তাহ আগে গ্রামীণফোন বিটিআরসির মূল দাবির এক-চতুর্থাংশ পৌনে ছয়শো কোটি টাকা দিতে চেয়েছিল। বিটিআরসি তা নেয়নি।

এরপর বৃহস্পতিবার গ্রামীণফোন দুই হাজার কোটি টাকা দেয়ার আপিল বিভাগের আগের আদেশ রিভিউ করার আবেদন করেছিল। আর এই আবেদনের প্রেক্ষাপটেই আপিল বিভাগ ২৪ ফেব্রুয়ারির মধ্যে এক হাজার কোটি টাকা পরিশোধের আদেশটি দিয়েছে। কোম্পানি আইন নিয়ে কাজ করেন এমন একজন আইনজীবী হামিদা চৌধুরী বলছিলেন, এখন গ্রামীণফোনকে নির্ধারিত সময়ে এক হাজার কোটি টাকা পরিশোধ করা ছাড়া কোনো উপায় নাই।

যদিও গ্রামীণফোন টাকা পরিশোধ করা না করার প্রশ্নে এখনও কিছু বলেনি। তবে তাদের পক্ষের অন্যতম আইনজীবী মোহাম্মদ মেহেদী হাসান চৌধুরী বলেছেন, আদালতে আদেশে নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই টাকা পরিশোধ করতে হবে। বিষয়টি তিনি গ্রামীণফোন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন।

এদিকে বিটিআরসির কর্মকর্তারা এক সংবাদ সম্মেলন করে বলেছেন, গ্রামীণফোন এখন নির্ধারিত সময়ের মধ্যে টাকা পরিশোধ করবে বলে তারা আশা করছেন।

এমএস/এসি

 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি