ঢাকা, রবিবার   ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪

কী বার্তা দেবেন শেখ হাসিনা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৫২, ৭ মার্চ ২০১৮

বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ ইউনেস্কোর বিশ্ব ঐহিত্যের স্বীকৃতি পাওয়ায় দিবসটি উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় যোগ দিতে দলের নেতাকর্মী এবং সর্বস্তরের জনতার ঢল শুরু হয়ে গেছে।
বুধবার সকাল থেকে রাজধানীসহ সারাদেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আসছেন। অনেকেই ইতিমধ্যে মঞ্চের সামনে অবস্থান নিয়েছেন। ঢাকা ও আশপাশের এলাকা থেকে বহু মুক্তিযোদ্ধা, সাধারণ মানুষও আজকের সমাবেশে যোগ দিতে সোহরাওয়ার্দী অভিমুখে রওয়ানা হয়েছেন। এই মুহূর্তে নেতাকর্মীদের মনে একটিই প্রশ্ন আজকের সমাবেশ থেকে কী বার্তা দেবেন দলীয় প্রধান। পরিবর্তিত রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে আজ সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় প্রধানের ভাষণ খুবই গুরুত্ব বহন করছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের কাছে।
জানা গেছে, খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিএনপির মাঠে নামার চেষ্টার বিপরীতে আওয়ামী লীগ লক্ষাধিক লোকের সমাবেশ করতে চায় এই সমাবেশে। সমাবেশ থেকে আগামী নির্বাচনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনা থাকবে বলে আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারণী সূত্রে জানা গেছে। এছাড়া কোনো ধরনের রাজনৈতিক সংঘাতের দিকে এগোলে বিএনপিকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবে না এমন বার্তা স্পষ্ট করা হবে আজকের সমাবেশ থেকে।
এছাড়া জঙ্গিবাদ ইস্যু, সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ড-পরিকল্পনা, বিএনপির নেতাদের ‘দুর্নীতি’, বিএনপি চেয়ারপারসনের জেলসহ সাম্প্রতিক রাজনৈতিক বিষয়গুলো উঠে আসবে সমাবেশে। আগামী নির্বাচন ঘিরে এখন থেকে সর্বাত্মক প্রস্তুতির জোর নির্দেশনা থাকবে সমাবেশ থেকে। 
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা মনে করেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কারাদণ্ড হওয়ার পর থেকে বিএনপি বেশ কিছুদিন থেকে মাঠে নামার চেষ্টা করছে। গতকালও প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেছে দলটি। নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপির মাঠে নামার চেষ্টা এবং খালেদা জিয়া জেলে থাকায় জনগণের সহানুভূতি নেওয়ার চেষ্টা যেন দলটি করতে না পারে—সেজন্য আওয়ামী লীগ তাদের সরব উপস্থিতি জানান দিতে চায়। এই জনসভার মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সবার উদ্দেশে একটি বার্তা দিতে চায়, তা হলো—এখনো আওয়ামী লীগ দেশের মানুষের ‘পছন্দ’ ও ‘আস্থার’ সংগঠন। এর প্রমাণ সমামেশে বিপুল মানুষের অংশগ্রহণ। এই কারণে দলের প্রতিটি নেতা-কর্মীকে জনসভা সফল করার জন্য কেন্দ্রীয়ভাবে নির্দেশনা দেওয়া আছে।
অধ্যাপক জাফর ইকবালের ওপর জঙ্গি হামলার ঘটনার পর নতুন করে জঙ্গি হামলার বিষয়টি সামনে এসেছে। এছাড়া এ বছরের শেষেই জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। এসব বিষয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রী দল এবং দেশবাসীর প্রতি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিতে পারেন বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে। পাশাপাশি আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে নির্বাচিত করার আহ্বানও থাকবে এই জনসভায়।
আওয়ামী লীগের একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা জানান, এ বছরের শেষের দিকে জাতীয় নির্বাচন। নির্বাচনের জন্য হাতে খুব বেশি সময় নেই। নির্বাচন বিষয়ে দলের নেতা-কর্মীদের দিকনির্দেশনা দেবেন দলের সভানেত্রী। এছাড়া বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার কারাদণ্ড, নতুন করে জঙ্গি হামলার বিষয় সামনে আসায় আজকের জনসভাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
/ এআর /


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি