কী হবে ভাগ্যরাজের
প্রকাশিত : ১১:৫৮, ৩০ জুলাই ২০২০ | আপডেট: ১২:০৩, ৩০ জুলাই ২০২০
নাম ভাগ্যরাজ। কিন্তু ভাগ্য এখনো খোলেনি। ঈদের বাকি আছে আর মাত্র একদিন। এখনো দেখা মেলেনি ক্রেতার। ফলে দুঃশ্চিন্তায় দিন পার করছেন মালিক ইতি আক্তার। ৫২ মণ ওজনের এই গরু কিনতে এবার কারো তেমন আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না।
ইতির ভাষায়, এবার তিনি গরুটির দাম নিজে থেকে ঠিক করেননি। উপযুক্ত দাম পেলেই ছেড়ে দেবেন। কিন্তু তিনি ক্রেতা পাচ্ছেন না। আর অনেক বড় হওয়ায় গরুকে হাটেও তোলেননি। বাড়িতে থেকেই বিক্রি করতে চান। আর একদিন পরেই ঈদ, তাই ভাগ্যরাজের ভাগ্যে কি আছে সেটা নিয়েই রয়েছেন দুঃশ্চিন্তায়।
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার দেলুয়া গ্রামের ইতি আক্তারের খামারে লালন-পালন হচ্ছে দেশসেরা এই গরু ভাগ্যরাজ। হলস্টেইন ফ্রিজিয়ান জাতের সাদা কালো রংয়ের এই গরু লম্বায় সাড়ে ৮ ফুটেরও বেশি। অনেকের দাবি এটি দেশের সবচেয়ে বড় কোরবানির গরু।
ইতির বাবা খান্নু মিয়ার পেশা গরু লালন-পালন করা। এ দিয়েই তার সংসার চলে। সারা বছর দুধ বিক্রি করেন। গত কয়েক বছর ধরে তার সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন তার মেয়ে। সে দেশীয় পদ্ধতিতে কোরবানির পশু মোটাতাজাকরণের কাজ শুরু করে। অত্যন্ত যত্ন নিয়ে প্রতিটি গরুকে সে লালন পালন করে। গত দুই বছর আগে তার ‘রাজাবাবু’ নামে আরেকটি গরু ব্যাপক আলোচনায় এসেছিল। এছাড়া বিশালাকৃতির ভাগ্যলক্ষ্মী ও লক্ষ্মীসোনা নিয়েও আলোচনায় আসে ইতি।
ইতি বলেন, গত বছর ভাগ্যরাজকে বিক্রি করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু দাম না পাওয়ায় বিক্রি করতে পারিনি। এবার করোনার কারণে ব্যাপারীরা আসতে পারছেন না। কি করবো বুঝতেছি না। একটা গরু পালতে অনেক খরচ। ভেবে ছিলাম ভালো দাম পাবো। কিন্তু সময়ও আর নেই। তাই উপযুক্ত দামেই গরুটি বিক্রি করতে চাই।
প্রতিদিন ভাগ্যরাজের পেছনে অনেক টাকাই খরচ করতে হয়। তার খাবারের তালিকা বেশ দীর্ঘ ও ব্যয়বহুল। এর মধ্যে ১০ কেজি গমের ভুষি, ২ কেজি মালটা, ৩-৪ ডজন কলা, ১ কেজি গুড়, ভুট্টা ভাঙ্গা, ছোলা ভাঙ্গা, মিষ্টি কুমড়া, লেবু, ধানের খড় এবং কাঁচা ঘাস। চিকিৎসকের পরামর্শে এ সব খাবারে ব্যয় প্রতিদিন প্রায় ৩ হাজার টাকার বেশি। এত কষ্টের পরও ইতি আক্তার অপেক্ষা করছেন ভাগ্যরাজের ভাগ্য খোলার অপেক্ষায়।
এসি