ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

কুবিতে শিক্ষার্থীকে মারধরের পর ছাত্রলীগের হেনস্তার শিকার সাংবাদিক

কুবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১০:৪০, ৩০ মে ২০২৩

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) ইংরেজি বিভাগের দুই শিক্ষার্থীদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের হেনস্তার শিকার হয়েছেন একটি দৈনিক পত্রিকার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি রুদ্র ইকবাল।

সোমবার দুপুরে ইংরেজি বিভাগের ১৫তম ব্যাচের দুই শিক্ষার্থী হীরক হাসান হীরা ও আরমান উদ্দিনের মাঝে মারামারির ঘটনা ঘটে। 

এ ঘটনায় পরবর্তীতে হীরকের সমর্থনে এসে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন আনসার ক্যাম্পের সামনে আরমানকে মারধর করেন সাবেক সাধারণ সম্পাদক রেজা-ই-এলাহি সমর্থিত মার্কেটিং ১৫তম ব্যাচের শাহাদাত তানভীর রাফি, লোকপ্রশাসন নওশীন আল ইসলাম ও শাহারিয়ার সজীব, নৃবিজ্ঞান বিভাগের সাইফ আদনান ও তন্ময়, আইন বিভাগের ফয়সাল, বাংলা বিভাগের আরিয়ান অঞ্জনসহ ১০ থেকে ১২ জন ছাত্রলীগ কর্মী।

রেজা-ই-এলাহি ২০১৭ সালে কুবি শাখা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সাধারণ সম্পাদক। এরপর তিনি কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। সম্প্রতি তিনি কুবি শাখার নতুন কমিটিতে সভাপতি পদপ্রার্থী বলে ক্যাম্পাসে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তার নেতৃত্বে সাম্প্রতিক সময়ে ক্যাম্পাসে বহিরাগতদেরকে দিয়ে ফাঁকাগুলি ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো এবং মারধরেরও অভিযোগ রয়েছে।

সোমবারের ঘটনায় সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি রুদ্র ইকবালকে হেনস্তা করেন রেজা সমর্থিত আসিফ এন্তাজ রাব্বি, অমিত সরকার ও সাদ্দামসহ অন্যান্যরা।

একই ঘটনার জের ধরে বিকাল ৪টায় প্রশাসনিক ভবনের সামনে প্রক্টরিয়াল বডির উপস্থিতিতেই ফের সাংবাদিকদের সাথে উচ্চবাচ্য করেন রেজা-ই-এলাহি এবং তার সমর্থকরা।

এ ঘটনার পর রেজা সমর্থিত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাসে মিছিল বের করেন।

ভুক্তভোগী সাংবাদিক রুদ্র ইকবাল বলেন, ‘পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়েছিলাম। ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা বিনা উস্কানিতেই আমার ওপর হামলে পড়ে।’

এসব বিষয়ে রেজা-ই-এলাহী বলেন, ‘সাংবাদিকদের হেনস্তা করা হয়নি, তারা আমাদের সাথে উচ্চবাচ্য করেছে। বিশৃঙ্খলাকারী কেউ আমার কর্মী নয়।’

এসব বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) কাজী ওমর সিদ্দিকী বলেন, ‘রেজা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইভেনিং এমবিএ করছে। তবে ক্যাম্পাসে কেউ কিছু করতে চাইলে অবশ্যই প্রশাসনের অনুমতি নিতে হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘যে দু’জন শিক্ষার্থী বিশৃঙ্খলা করেছে, তাদের কাছ থেকে কোন অভিযোগ পাইনি। তারা বলেছে, তাদের মধ্যে মিউচুয়াল হয়ে গেছে। প্রক্টরিয়াল বডি এখানে মধ্যস্থতা করেছি।’

তবে সাংবাদিক হেনস্তার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি প্রক্টর।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি