ঢাকা, শনিবার   ০২ নভেম্বর ২০২৪

কৃত্রিম সংকট তৈরি করে আলুর দাম বাড়ানোর পাঁয়তারা (ভিডিও)

সাইফুর রহমান টিটু

প্রকাশিত : ১১:২৫, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

কৃত্রিম সংকট তৈরি করতে আলু মজুদ করলে খোদ ব্যবসায়ীরাই ক্ষতির মুখে পড়বে মনে করছেন হিমাগার মালিকরা। তারা বলছেন, দাম আরও বাড়িয়ে দেয়ার জন্য মধ্যস্বত্যভোগীরা হিমাগার থেকে আলু ছাড়ছে না। এ অবস্থায় আলু পচে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। 

দেশের আলুর চাহিদার একটি বড় অংশ আসে মুন্সিগঞ্জ থেকে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছেন জেলার চাহিদার চেয়ে ১ লাখ ৬৫ হাজার টন বেশি আলু হিমাগারগুলোতে মজুদ রয়েছে।

হিমাগার মালিকরা জানিয়েছেন, হিমাগারে থাকা আলু শেষ করতে হলে প্রতিদিন কমপক্ষে ছয়শ’ বস্তা শেটে রেখে বাজারজাতের প্রস্ততি নিতে হবে। কিন্তু এখন এক বস্তা আলুও হিমাগার থেকে বের করছে না মজুদদাররা।


মুক্তারপুর রিভারভিউ কোল্ড স্টোরেজের ব্যবস্থাপক রেজাউল করিম বলেন, “আলু দুই বছর রাখার জিনিস নয়। এ বছরের আলু এ বছরেই শেষ করতে হবে। দাম আরেকটু বাড়বে এই আশা করে বসে আছে।”

এমন পরিস্থিতিতে আলু কিনতে এসে খালি হাতে ফিরছেন বেপারীরা। 

বেপারীরা জানান, আলু বিক্রি করছেনা, আমরা এসে তো বসে থাকি। 

কৃষি কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মুন্সীগঞ্জে আগামী মৌসুম পর্যন্ত এই জেলায় আলুর চাহিদা ৯৫ টন। আর ৬০টি হিমাগারে মজুদ আছে দুই লাখ ৬০ হাজার টন। 

মুন্সীগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা এবিএম ওয়াহিদুর রহমান বলেন, “এখানে মধ্যসত্ত ব্যবসায়ীদের অন্য কোনো বিষয় আছে, যারা কৃত্রিমভাবে আলুর দাম বৃদ্ধি করছে। এই মুহূর্তে আলুর দাম বৃদ্ধির কোনো যুক্তিযুক্ত কারণ আমরা দেখছিনা।”

মুন্সীগঞ্জ কৃষি বিপনন কর্মকর্তা এবিএম মিজানুল হক বলেন, “কোল্ড স্টোরেজের যে মধ্যসত্তভোগীরা আছে তাদের নামের তালিকা এবং তারা কি পরিমাণ আলু রেখেছে, কি পরিমাণ খালাস করেছে এটার রিপোর্ট তৈরি করে প্রতি তিন দিন অন্তর অন্তর তারা আমাদের জানাবে। তার উপর ভিত্তি করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।”

আলু চাষিরা ১২ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি করলেও খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকায়।  

এএইচ


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি