কৃষি ও কৃষক বাদ দিয়ে শিল্পায়ন নয়: প্রধানমন্ত্রী
প্রকাশিত : ১৩:৩৬, ৬ নভেম্বর ২০১৯ | আপডেট: ১৩:৪৬, ৬ নভেম্বর ২০১৯
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এক ফোঁটা জামিও যাতে অনাবাদি না থাকে সে লক্ষ্যে কাজ করছে সরকার। কৃষক ও কৃষি বাদ দিয়ে দেশের উন্নয়ন ও শিল্পায়ন নয় বলেও জানিয়েছেন তিনি।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কৃষকলীগের ১০ম সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন কেন? তিনি দেখেছেন বাংলার মানুষ কীভাবে শোষিত-বঞ্চিত বিশেষ করে কৃষক সম্প্রদায়।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ কৃষি নির্ভর দেশ। এই কৃষকরাই বাংলাদেশকে বাঁচিয়ে রাখে। কৃষক ফসল ফলায় আর আমরা তা খেয়ে বেঁচে থাকি। আর খাদ্য চাহিদা এটা কোনও দিন শেষ হয় না। জনসংখ্যা বাড়বে, খাদ্য চাহিদাও বাড়বে। কাজেই একটি সমাজের জন্য একটি দেশের জন্য কৃষক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর কৃষকরা যে শোষিত-বঞ্চিত ছিল এটা সেই ছোটবেলা থেকেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব দেখেছেন। যে কারণে তিনি এই বাংলাদেশকে স্বাধীন করতে চেয়েছিলেন।
বঙ্গবন্ধুকন্যা বলেন, কৃষক ফসল ফলাত কিন্তু তার পেটে খাবার ছিল না, তার পরনে ছিল শির্ণ কাপড়, তার মাথা গুঁজার ঠাই নেই। তারা হতো প্রতিনিয়ত শোষিত-বঞ্চিত। এই বঞ্চনার হাত থেকে মানুষকে বাঁচাতে জাতির পিতার সংগ্রাম। সব সময় তিনি কৃষকদের দিকে তাকিয়েছেন। এবং কৃষকলীগ সংগঠনটাও তার হাতেই করা ছিল।
শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের সবসময় লক্ষ, কৃষকের অধিকার সংরক্ষণের জন্য এবং সঙ্গে সঙ্গে আমাদের দেশ আমরা উন্নত হব, শিল্পায়নে যাব কিন্তু কৃষককে ত্যাগ করে নয়, কৃষিকে ত্যাগ করে নয়। কারণ কৃষিইতো আমাদের বাঁচিয়ে রাখে। কাজেই আমাদের দেশের উন্নয়ন প্রকল্পটা আমরা এমনভাবে নিই, যাতে আমাদের কৃষকদেরকে আমরা সবথেকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে দেই।
প্রসঙ্গত, দেশে কৃষির উন্নয়ন এবং কৃষকের স্বার্থরক্ষার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ১৯ এপ্রিল বাংলাদেশ কৃষক লীগ প্রতিষ্ঠা করেন। সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সম্মেলন হয় সর্বশেষ ২০১২ সালের ১৯ জুলাই। তিন বছর কমিটির মেয়াদ থাকলেও চলেছে প্রায় আট বছর। শুধু কেন্দ্রীয় কমিটি নয়, জেলা পর্যায়ের কমিটিগুলোও বিভিন্ন কারণে ঝিমিয়ে পড়েছে। এমন অবস্থায় জাতীয় সম্মেলন ঘিরে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে কৃষক লীগে। প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অবাধ প্রবেশ বন্ধ করে দেয়া হয়। এ ছাড়া উদ্যোনে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। কৃষক লীগের সম্মেলন উপলক্ষে মঞ্চ সাজানো হয়েছে গ্রাম বাংলার কাছারি ঘরের আদলে। যেখানে আছে ‘আমার বাড়ি, আমার খামার’ প্রকল্পের প্রতীকী রূপ। মঞ্চে কৃষি ও কৃষকসংশ্লিষ্ট বিষয়কে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে।
একে//
আরও পড়ুন