কৃষ্ণপত্নী ও পুত্র
প্রকাশিত : ১১:২১, ১১ আগস্ট ২০২০ | আপডেট: ১১:৩৯, ১১ আগস্ট ২০২০
তৎকালীন প্রচলিত কথা অনুযায়ী কৃষ্ণ বহু বিবাহ করেছিলেন। তাঁর নাকি ১৬,১০৮ জন স্ত্রী ছিলেন। এদের মধ্যে প্রধান হলেন রুক্মিণী। মহাভারত ও অন্যান্য পুরাণে তাঁদের কথা উল্লেখ আছে।
হরিবংশ পুরাণ থেকে জানা যায়, নরকাসুরের অন্দরমহল থেকে ১৬ হাজার নারীকে উদ্ধার করেছিলেন কৃষ্ণ। তাঁরা সকলেই ছিলেন ঋষিকন্যা। তাঁরা সকলে ভূদেবীর আশীর্বাদে কৃষ্ণপত্নী হয়েছিলেন। তবে এদের কারোর নাম জানা যায় না।
এই ১৬ হাজার পত্নী ছাড়া বিভিন্ন পুরাণ অনুযায়ী কৃষ্ণের স্ত্রীর সংখ্যা আট, নয়, সাত ইত্যাদিও।
‘মহাভারত’ অনুযায়ী শ্রীকৃষ্ণের পত্নী সংখ্যা আট। তাঁরা হলেন- রুক্মিণী, সত্যভামা, জাম্ববতী, মিত্রবিন্দা, নগ্নজিতী, মাদ্রী, লক্ষণা ও রোহিনী।
‘হরিবংশ’ পুরাণ অনুযায়ী এই সংখ্যা সাত। তাঁরা হলেন- রুক্মিণী, সত্যভামা, জাম্ববতী, মিত্রবিন্দা, নগ্নজিতী, মাদ্রী, লক্ষণা।
‘বিষ্ণুপুরাণ’ অনুসারে কৃষ্ণ নয় জনের স্বামী। রুক্মিণী, সত্যভামা, জাম্ববতী, কালিন্দী, মিত্রবিন্দা, নগ্নজিতী, মাদ্রী, লক্ষণা ও রোহিনী।
‘ভাগবৎ পুরাণ’ বলছে, অষ্টপত্নী রয়েছে কৃষ্ণের। তাঁরা হলেন, রুক্মিণী, সত্যভামা, জাম্ববতী, কালিন্দী, মিত্রবিন্দা, নগ্নজিতী, ভদ্রা, লক্ষণা।
পুরাণে কৃষ্ণের স্ত্রীর সংখ্যা নিয়ে মতপার্থক্য আছে। এমনও অনেক বিশেষজ্ঞকে বলতে শোনা যায় যে, আসলে শ্রীকৃষ্ণের এক জনই পত্নী। তিনি হলেন দেবী রুক্মিণী। বাকি পত্নীরা আসলে শরীরের ভিতরের অষ্টচক্র বই অন্য কিছু নয়।
তেমনই পুত্র সংখ্যা নিয়েও ব্যাপক গোলযোগ রয়েছে। সে তো স্বাভাবিক। স্ত্রীর সংখ্যা স্থির না থাকলে সন্তানের সংখ্যা নিয়েও সমস্যা তৈরি হবে। আর হয়েছেও তাই। বেশ কিছু পুরাণে বলা হয়েছে, কৃষ্ণের প্রত্যেক স্ত্রীর পুত্র সংখ্যা ১০। সেই হিসাবে কখনও তা হয় ৭০, কখনও ৮০ অথবা কখনও ৯০। এ ছাড়া ১৬,১০৮ জন স্ত্রী ধরা হলে তো আর কথাই নেই প্রত্যেকের দশ জন করে সন্তান যদি হয়। এদের কারোরই নাম সেই ভাবে কোথাওই পাওয়া যায় না। আবার কিছু কিছু স্থানে এদের নিয়ে কিছু গল্প কথা অবশ্যই আছে তবে তা প্রমাণসাপেক্ষ। তবে এই সংখ্যা নিয়ে ব্যাপক গোলযোগ থাকলেও কৃষ্ণের একটি পুত্রের নাম ব্যাপক ভাবে জানা যায়। তিনি হলেন রুক্মিণী পুত্র প্রদ্যুমন।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, কৃষ্ণের একজনই স্ত্রী, তিনি হলেন রুক্মিণী এবং রুক্মিণীর দশটি নয় একটিই সন্তান তিনি হলেন প্রদ্যুমন। এই প্রদ্যুমনের পুত্র অনিরুদ্ধ।
এসএ/