কোটার নামে মুক্তিযুদ্ধের কটাক্ষ বরদাশত করা হবে না: মাকসুদ কামাল
প্রকাশিত : ১৬:৪১, ২২ জুলাই ২০১৮
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মাকসুদ কামাল বলেছেন, কোটার নামে নিপীড়নের নামে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করা বা কটাক্ষ করা কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না। এসব কাজে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে হবে। এর আগেও এ ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সচেতন শিক্ষক সমাজ আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। সকালে কলা ভবনের সামনে এই সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এতে বিভিন্ন বিভাগের কয়েকশ’ শিক্ষক অংশ নেন।
গত ১৯ জুলাই নিপীড়নবিরোধী শিক্ষকদের কর্মসূচিতে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. আকমল হোসেন বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে বক্তব্য রেখেছেন বলে অভিযোগ করেন মাকসুদ কামাল। বলেন, এটা কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না। এসব কাজে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শিক্ষক সমিতির সভাপতি বলেন, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উসকিয়ে দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করার মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রীয়ভাবে ফায়দা লুটার চেষ্টা করছে একটি পক্ষ। গত ১৯ তারিখে নিপীড়ন বিরোধী শিক্ষকদের কর্মসূচিতে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক আকমল হোসেন বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে বক্তব্য রেখেছেন। আয়োজকরা এর প্রতিবাদ না করে অনেকে হাততালি দিয়েছেন। তখন আমাদের বুঝতে বাকি থাকে না এরা কারা। অপ্রাসঙ্গিক ইস্যু এনে বঙ্গবন্ধুকে আক্রমণ করা হচ্ছে। তারা তারেক জিয়ার ভাষায় বক্তব্য রাখছেন।
মাকসুদ কামাল বলেন, কোটার নামে নিপীড়নের নামে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করা বা কটাক্ষ করা কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না। এসব কাজে যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে ব্যবস্থা নিতে হবে। এর আগেও এ ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম বলেন, শিক্ষকসমাজ ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ করা কোনোভাবেই মেনে নেবে না। কিন্তু নায্য দাবির সঙ্গে আমরা একমত পোষণ করব।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশান সিস্টেমস বিভাগের অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে এতে উপস্থিত ছিলেন সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক সাদেকা হালিম, শিক্ষক সমিতির যুগ্ম-সম্পাদক তাজিন আজিজ চৌধুরী, সিন্ডিকেট সদস্য সহযোগী অধ্যাপক মোহাম্মদ হুমায়ূন কবির, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ।
/ এআর /
আরও পড়ুন