কোনো বিদেশি প্রভুদের প্রেসক্রিপশনে নির্বাচন হবে না: শেখ পরশ
প্রকাশিত : ১৯:৩৩, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ | আপডেট: ১৯:৩৮, ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেছেন, বিএনপি এখন চাচ্ছে লাশের রাজনীতি করতে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল করতে বিএনপি বিভিন্ন অপচেষ্টা করবে। তারেক জিয়া চাচ্ছেন, বাংলাদেশে যাতে নির্বাচনটা না হয়। কারণ, তিনি মানি লন্ডারিং মামলা ও একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় সাজাপ্রাপ্ত। ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলা তাঁর বিরুদ্ধে চলছে।
তিনি বলেন, সঠিক নির্বাচন হলে ১৫১ সিট তাঁরা পাবেন না। তাই তারা লাশের রাজনীতি করে নির্বাচন বানচাল করতে চয়। আমি তাদের বলতে চাই, নির্বাচন হবে জননেত্রী শেখ হাসিনার অধীনেই এবং নির্বাচন কমিশনের পরিচালনায় একটা অবাধ, নিরপেক্ষ এবং যথাযথ পদ্ধতিতে নির্বাচন হবে। কোনো বিদেশী প্রভুদের প্রেসক্রিপশনে নির্বাচন হবে না।
বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবাদ সমাবেশে যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ এসব কথা বলেন। সমাবেশটি সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
গত ১০ ফেব্রুয়ারি গাজীপুর ও ১১ ফেব্রুয়ারি লক্ষ্মীপুরসহ বিভিন্ন জেলায় ‘পদযাত্রা’র নামে বিএনপি-জামাত সন্ত্রাস, সহিংস রাজনীতি, প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া, জনগণ ও পুলিশের উপর হামলা, সাধারণ মানুষের জানমালের ক্ষতিসহ গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ঘটিয়েছে। তারই প্রতিবাদে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
ফজলে শামস্ পরশ বলেন, বিএনপির পদযাত্রায় কোন জনসম্পৃক্ততা নাই, কারণ জনগণের ওপর তাদের অত্যাচারের কথা জনগণ ভুলে নাই। ২০১৪ সালের অগ্নিসংযোগের কথা জনগণ ভুলে নাই। সার ও বিদ্যুতের জন্য কৃষকদের ওপর গুলির কথা জনগণ ভুলে নাই। এজন্য তারা হতাশায় ভুগেছে এবং সেই হতাশা থেকে তারা দিক বিদিক হারিয়ে ফেলেছে। তাদের সন্ত্রাসী চেহারা বের হয়ে আসছে। আসলে কিছু কিশোর গ্যাং এবং শিবিরের কর্মী দিয়ে তাদের মিছিল-মিটিং গরম করবে আর কত দিন?
তিনি আরও বলেন, বিএনপি নেতৃত্বের প্রতি জনগণের কোনো আস্থা নাই। কারণ তারা প্রতারক গোষ্ঠী, জনগণের ভোট পাইলে জনগণকে ভুলে যেতে তাদের দুই সেকেন্ডও লাগে না।
পরশ বলেন, আমি আহ্বান করতে চাই আপনাদের কাছে এবং একই সাথে বিএনপির নেতৃবৃন্দদেরকেও চ্যালেঞ্জ করতে চাই যে অনুগ্রহ করে ২০০১ সালে তাঁদের নির্বাচনী ইশতিহার বের করে দেখান কয়টা ভোটারদের দেওয়া প্রতিশ্রুতি তারা পূরণ করেছিলেন। তাহলেই প্রমাণিত হয়ে যাবে যে তারা প্রতারণার রাজনীতি করে, প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের রাজনীতি করে।
তিনি আরও বলেন, আমরা জনগণের পাশে থাকার কাজ অব্যাহত রাখব এবং জনগণের জান-মালের নিরাপত্তার প্রশ্নে বঙ্গবন্ধুকন্যা রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার প্রশ্নে যুবলীগ আপোসহীন, ভ্যানগার্ড হিসেবে আমরণ সজাগ এবং সরব দৃষ্টি রাখব এবং প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ করবো। সেই মর্মে বিএনপি জামাতের সন্ত্রাস, সহিংস রাজনীতি, প্রকাশ্যে অস্ত্রের মহড়া, জনগণ ও পুলিশের ওপর হামলার প্রতিবাদে নিম্নোক্ত কর্মসূচি ঘোষণা করছি। ১৭ ফেব্রুয়ারি, শুক্রবার, বিকাল ৩টায়, বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের প্রতিবাদ সমাবেশ। ১৭ ফেব্রুয়ারি, শুক্রবার, বিকাল ৪টায়, ফার্মগেইট যুবলীগ চত্বরে ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তরের প্রতিবাদ সমাবেশ। ১৮ ফেব্রুয়ারি, শনিবার, ঢাকা মহানগর ব্যতীত দেশের সকল বিভাগীয় শহরে প্রতিবাদ সভা। ১৯ ফেব্রুয়ারি, রবিবার, দেশের প্রতিটি উপজেলা/থানা ও পৌরসভায় প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিল। ২০ ফেব্রুয়ারি, সোমবার, দেশের প্রতিটি জেলায় প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিল। ২২ ফেব্রুয়ারি, বুধবার, ঢাকা মহানগরে জাতীয় সংসদের আসন ভিত্তিক এবং দেশের সকল মহানগরের প্রতিটি থানায় প্রতিবাদ সভা ও বিক্ষোভ মিছিল।
সঞ্চালকের বক্তব্যে যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, বিএনপি-জামাত একটি জঙ্গি সংগঠন, একটি সন্ত্রাসী সংগঠন। এই সংগঠন দেশকে ভালবাসে না, দেশের মানুষকে ভালবাসে না। এই সংগঠন যখনই রাজপথে এসেছে তখনই মানুষের জানমালের উপর হামলা হয়েছে। বিএনপি যেকোন সময় মানুষের উপর হামলা করে জনগণের জানমাল নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে পারে। তাদের অতীত ইতিহাস সে কথাই বলে। ’৭৫-এ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে তাদের রাজনীতি শুরু হয়েছে। ১৭ আগস্ট সিরিজ বোমা হামলা ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার হোতা বিএনপি তারেক জিয়া তাদের শাসন আমলের ভয়াবহ ইতিহাস বাংলার মানুষ জানে। আমরা যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ জনগণের জানমালের সম্পদ রক্ষায় ঢাল হয়ে রাজপথে থাকবো যেন, বিএনপি জামাত মানুষের উপর হামলা করতে না পারে। আগুন সন্ত্রাস সৃষ্টি করতে না পারে।
এসি
আরও পড়ুন