কোরবানির পশু ক্রয়ে সক্রিয় সিন্ডিকেট
প্রকাশিত : ১৫:৪৬, ১৬ জুলাই ২০১৮
কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে সক্রিয় হয়ে উঠেছে শক্তিশালী সিন্ডিকেট। ঈদের দেড় মাস বাকি থাকলেও ওই চক্রের কব্জায় চলে গেছে পশুর বাজার।চক্রটি এরই মধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে কোরবানির পশু ক্রয় করে রেখেছে। আসন্ন ঈদে ইচ্ছামত দাম হাকিয়ে বিক্রি করা হবে।
জানা গেছে, প্রতি বছর কোরবানির ঈদে দেশের বাজারে পশুর চাহিদা মেটাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে কুষ্টিয়া অঞ্চলের খামারি ও কৃষকরা। এবারও জেলার ২০ হাজার ১১০ জন গো-খামারি ও কৃষক এক লাখের বেশি পশু উৎপাদন করেছেন। তবে অধিকাংশ পশু সিন্ডিকেটের হাতে চলে যাওয়ায় ঈদে পশু সংকট হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
এ বছর কুষ্টিয়া অঞ্চলে পশু উৎপাদন প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে। এ সুযোগকে কাজে লাগাতে আগেভাগে মাঠে নেমেছে রাজধানী ঢাকা ও চট্টগ্রামের
১০ থেকে ১৫ জনের একটি সিন্ডিকেট। ওই চক্রের নিয়োগ করা বেপারীরা এক মাস ধরে জেলার হাট-বাজার ও প্রত্যন্ত অঞ্চলের বাড়ি বাড়ি ঘুরে বিপুল পরিমাণ
গবাদি পশু কিনে নিয়েছেন। তারা এ পশু ক্রয় করে ঢাকায় নিয়ে মজুদ করেছেন বলে জানান স্থানীয় বেপারীরা।
স্থানীয় কৃষকরা জানান, জেলার সবচেয়ে বেশি গরু উৎপাদন হয় দহকুলা, ঝাউদিয়া ও বাঁশগ্রামে। এসব গ্রামে এখন বেশি গরু নেই। বেছে বেছে সব গরু চড়া
দামে নিয়ে গেছেন বাইরের বেপারীরা। ছোট ছোট কিছু গরু থাকলেও বিক্রি হচ্ছে বেশি দামে। একদিকে কম উৎপাদন, অন্যদিকে সিন্ডিকেটের থাবায় ঈদের দেড়
মাস আগেই বেড়ে গেছে সব ধরনের পশুর দাম।
জেলার সবচেয়ে বড় খামারি কাজী ফার্মের কাজী শওকত জানান, কৃষকের হাতে কোনো গরু নেই। অনেক গ্রামের গরুই জেলার বাইরে চলে গেছে। বিভিন্ন জেলা
থেকে গরু ক্রয় করে ঢাকায় স্টক হচ্ছে। এবার পুরো সিন্ডিকেটের হাতে চলে গেছে দেশি গরুর বাজার।
জানা যায়, সরকারি হিসাব থেকে এবার কোরবানির পশুর সংখ্যা অনেক কম। প্রতি বছর এলাকার গ্রামে-গঞ্জে প্রায় সব বাড়িতেই ২-৪টি
কোরবানির গরু পাওয়া যেত। তবে এবারের চিত্র ভিন্ন। অনেক বাড়িতে দেখা গেছে গরু-ছাগলের চাষ নেই। আবার যেসব বাড়িতে পশু আছে, সেখানে সংখ্যায়
অনেক কম।
আরকে//
আরও পড়ুন