কোরবানির শিষ্টাচার
প্রকাশিত : ১৮:০৩, ৯ জুলাই ২০২২

ঈদুল আযহা বা কোরবানির ঈদ মুসলিম উম্মাহর সার্বজনীন দুটি উৎসবের অন্যতম একটি। এই ঈদের প্রধান আকর্ষণ পশু কোরবানি করা। নিজের অর্থে কেনা পশুটি আল্লাহর নামে উৎসর্গ করে জবাই করার মাধ্যমে একজন প্রকৃত মুসলমান মূলত নিজেকে আল্লাহর কাছে সমপর্ণের শিক্ষা নেয়। কিন্তু প্রতিবছর কোরবানি আসলেই কিছু মানুষের মধ্যে অহেতুক বাড়াবাড়ি ও উন্মত্ততা দেখা যায়।
এসব বাড়াবাড়ি ও উন্মত্ততা ধর্মসম্মত নয়। কোরবানি হবে শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তোষটি অর্জনের জন্য, লোক দেখানোর জন্য নয়। সামর্থ্যবানরা কোরবানি দেবেন এবং গরিবদের মধ্যে মাংস বিতরণ করে আনন্দ ভাগ করে নেবেন। এটাই হচ্ছে এই ঈদের মূল শিক্ষা।
এবার জেনে নেওয়া যাক কোরবানির সময় যে বিষয়গুলো থেকে দূরে থাকা জরুরি-
* কারো কাছে কোরবানির পশুর দাম জিজ্ঞেস করবেন না। কোরবানির পশুর কোনো দাম হয় না। কারণ কোরবানির পশু কোনো পণ্য নয়। এটি পরম করুণাময়ের নির্দেশ পালনের একটি অনুষঙ্গ মাত্র।
* কত টাকা দিয়ে কোরবানি দিলেন– নিজেকে জাহির করার উদ্দেশ্যে সেই ধরনের কথা বলা থেকে বিরত থাকুন। শুধু কোরবানির ক্ষেত্রে নয়, যাকাত-সদকার পরিমাণ উল্লেখ করা থেকেও বিরত থাকুন।
* কোরবানির পশুর দাম ও আকার নিয়ে অসুস্থ প্রতিযোগিতা থেকে বেরিয়ে আসুন। কেউ পশুর দাম জানতে চাইলে বলুন, ‘আল্লাহ যা সামর্থ্য দিয়েছেন তার মধ্যেই কেনার চেষ্টা করেছি।’
* কোরবানির গোশতের ওজন ও পরিমাণ নিয়ে কথা বলবেন না।
* কোরবানির পশু কেনার পর বাজারদর যাচাই করে এ নিয়ে অহেতুক আলাপে যাবেন না। ‘দামে ঠকে গেছি’- এ ধরনের আফসোস করবেন না।
* কোরবানির গোশত যথাযথভাবে বিতরণ করুন। কোরবানির গোশত সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে ফ্রিজ কেনার ভ্রান্ত মানসিকতা পরিহার করুন।
* কোরবানির পশুকে অযত্নে-অবহেলায়-অনাহারে রাখবেন না।
* কোরবানির পশুর সাথে সেলফি তুলবেন না। এটি একটি ‘ভ্রষ্টাচার’। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এ সম্পর্কিত প্রচার থেকে পুরোপুরি বিরত থাকুন।
* খাদ্য উৎসবে মেতে উঠবেন না। খাবারে পরিমিতি বজায় রাখুন।
* আপনার কোরবানির পশুর রক্ত ও বর্জ্য নিজ উদ্যোগে পরিষ্কার করুন। এ ক্ষেত্রে নগর কর্তৃপক্ষের পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে যথাসম্ভব সাহায্য করুন।
এএইচ