কোষ্ঠকাঠিন্যে যেসব বিপদ হতে পারে
প্রকাশিত : ১৮:০২, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮
কোষ্ঠকাঠিন্য বর্তমান সময়ের একটি কমন রোগ। বহু মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। সঠিক চিকিৎসার অভাবে এই রোগ অনেক সময় জটিল আকার ধারণ করে। যা দীর্ঘমেয়াদী যন্ত্রণার কারণ হয়ে উঠতে পারে।
কোষ্ঠকাঠিন্য কি
কোষ্ঠ অর্থ হচ্ছে মলাশয়। কোষ্ঠকাঠিন্য অর্থ হচ্ছে মলাশয়ের মল ঠিকমতো পরিষ্কার না হওয়া বা মলে কাঠিন্যহেতু মলত্যাগে কষ্টবোধ হওয়া। যদি যথেষ্ট পরিমাণ আঁশ জাতীয় খাবার খাওয়ার পরও সপ্তাহে তিন বারের কম স্বাভাবিক ও স্বতঃস্ফূর্ত মলত্যাগ হয়, তবে তাকে কোষ্ঠকাঠিন্য বলে।
কোষ্ঠকাঠিন্যের বিপদ
কোষ্ঠকাঠিন্যের চিকিৎসা সময়মতো করা উচিত। দেরি হলে মারাত্মক সমস্যা দেখা দিতে পারে। অর্শ বা পাইলস হওয়া, এনাল ফিশার বা মলদ্বারে আলসার হওয়া, রেকটাল প্রোলেপস বা মলদ্বার বাইরে বের হয়ে আসা, পায়খানা ধরে রাখতে না পারা, খাদ্যনালীতে প্যাঁচ লাগা, প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যাওয়া, মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়া, খাদ্যনালীতে আলসার বা ঘা, এমনকি রোগীর পারফোরেশনও (ছিদ্র হওয়া) হতে পারে।
কোষ্ঠকাঠিন্যের চিকিৎসা
সিরাপ লেকটুলোজ (বাজারে এভোলেক, অসমোলেক্স, টুলেক, লেকটু ইত্যাদি নামে পাওয়া যায়) ২/৩ চামচ করে দিনে ৩ বার খাওয়া। এসব ওষুধ নিয়মিত খাওয়া ভালো নয়, ডাক্তারের পরামর্শ সাপেক্ষে খেতে হবে ট্যবলেট. বিসাকডিল (বাজারে ডুরালেক্স, ডাল্কোলেক্স ইত্যাদি নামে পাওয়া যায়) ৫ মিঃগ্রাঃ রাতে প্রয়োজন অনুপাতে ১/২/৩ টা সেবন করা, তবে তা অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ সাপেক্ষে এনাল ফিশার বা মলদ্বারে আলসার থাকলে এরিয়েন মলম বা সাপোসিটরি মলদ্বার ও তার আশপাশে দিনে ২/৩ বার ব্যবহার করা। মল শক্ত হয়ে মলাশয়ে আটকে গেলে গ্লিসারিন সাপোসিটরি ১/২ টা মলদ্বারে ব্যবহার করা। ২/৩ দিন পায়খানা না হলে বা মল শক্ত হয়ে গেছে মনে হলে পায়খানা করার আগে মলদ্বারে জেসোকেইন জেলি লাগিয়ে নেওয়া, এতে রক্তপাত ও এনাল ফিশার বা মলদ্বারে আলসার এর সম্ভাবনা কমে যায়।
লেখক: চিকিৎসক, জাতীয় বারডেম হাসপাতাল।
/ এআর /