ক্যানসারের ঝুঁকি কমাবে মাছ: গবেষণা
প্রকাশিত : ০০:০২, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ | আপডেট: ১০:২৮, ২ সেপ্টেম্বর ২০১৮
মাছ ছাড়া বাঙালির ডায়েট চার্ট কোন দিন সম্পূর্ণ হতে পারে না। আমরা সবাই প্রায় জানি যে, ওমেগা -৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার হার্টের জন্য ভাল।
কিন্তু মাছে এই ফ্যাটি অ্যাসিড এমন পরিমাণে থাকে যা হার্টের রোগ ছাড়াও ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে।
সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গেছে যে, বেশি পরিমাণে মাছ খেলে এবং দীর্ঘদিন ধরে পর্যাপ্ত ফ্যাটি অ্যাসিড শরীরে পৌঁছালে মানুষের আয়ুও বাড়ে।
জার্নাল অফ ইন্টারনাল মেডিসিনে প্রকাশিত এই রিপোর্ট অনুযায়ী, ২৪০৭২৯ জন পুরুষ এবং ১৮০৫৮০ জন নারীকে নিয়ে এই প্রক্রিয়ায় ১৬ বছর ধরে গবেষণা চালানো হয়। এর মধ্যে ৫৪২৩০ পুরুষ এবং ৩০৮৮২ জন নারী মারা গেছেন।
চিনের ঝেজিয়াং বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত এই গবেষণায় তারা দেখেন যে বেশি মাছ খান এমন পুরুষদের মধ্যে হার্টের রোগ ১০শতাংশ কম, এবং আয়ুও সাধারণের থেকে ৯ শতাংশ বেশি।
তাদের ক্যান্সারে মৃত্যুর সম্ভাবনাও অন্যদের থেকে ৬ শতাংশ এবং শ্বাসকষ্টের রোগ অন্যদের থেকে ২০ শতাংশ কম।
অপরপক্ষে, বেশি পরিমাণ ওমেগা -৩ ফ্যাটি অ্যাসিড গ্রহণের পর মহিলাদের ক্ষেত্রেও তাড়াতাড়ি মৃত্যুর সম্ভাবনা ৮ শতাংশ কম। শ্বাসকষ্টের রোগও অন্যদের থেকে ১০ শাতাংশ কম এবং অ্যালঝাইমারের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনাও ৩৮ শতাংশ কম।
এবার আসুন দেখে নেওয়া যাক মাছে কী কী গুণাগুণ রয়েছে-
১)মাছে আয়োডিন এবং ভিটামিন ডি সহ অনেক অপরিহার্য পুষ্টিপদার্থ রয়েছে। নিয়মিত মাছ খাওয়া মস্তিষ্ক এবং চোখের কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে এবং বিভিন্ন রোগের ঝুঁকিও কমায়।
২)হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি কমাতে মাছের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।
৩)নিয়মিত মাছ খেলে বেশি বয়সে এসেও মস্তিষ্ক সুন্দরভাবে কাজ করতে পারে। যারা নিয়মিত মাছ খান, দেখা গিয়েছে, তাদের মস্তিষ্কের কেন্দ্রগুলিতে গ্রে- ম্যাটারের প্রাচুর্য রয়েছে যা স্মৃতি ও আবেগ নিয়ন্ত্রণের জন্য কার্যকরী।
৪)মাছের মধ্যে থাকা ওমেগা-3 ফ্যাটি অ্যাসিড মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণের সাহায্য করে। ডিপ্রেশনের রোগীরা নিয়মিত মাছ খান। মাছের মধ্যে থাকা বিভিন্ন অ্যান্টি ডিপ্রেশন্ট আপনাকে সুস্থ থাকতে সাহায্য করবে।
৫)ভিটামিন ডি-র নির্ভরযোগ্য উৎস হচ্ছে মাছ। শরীরে ভিটামিন ডি-র মাত্রা বাড়াতে কড লিভার তেল খেতে পারেন। হাড় সুস্থ রাখতে পর্যাপ্ত ভিটামিন ডি প্রয়োজন।
৬) যারা নিয়মিত মাছ খাচ্ছেন তাদের টাইপ-1 ডায়াবেটিসের মতো রোগের ঝুঁকি কম থাকে। নিয়মিত মাছ খেলে রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস এবং একাধিক স্ক্লেরোসিসের ঝুঁকিও কমে আসে।
৭)শিশুদের অ্যাসমা রোগের ক্ষেত্রের উপকারে আসতে পারে মাছ।
৮)বুড়ো বয়সে দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখার জন্য মাছের জুড়ি মেলা ভার। মাছ ভালো ঘুমেরও সহায়ক।
সূত্র: এনডিটিভি
এমএইচ/এসি