ক্যারিয়ারের তিন যুগে কুমার বিশ্বজিৎ
প্রকাশিত : ১১:৫১, ২৪ এপ্রিল ২০১৮
‘তোরে পুতুলের মতো করে সাজিয়ে’ এই গানটির কথা মনে আছে নিশ্চই। আল মানসুর প্রযোজিত ‘শিউলীমালা’ অনুষ্ঠানে বিটিভিতে প্রচার হয় গানটি। এ গান দিয়েই শ্রোতাদের মনে ঠাঁই করে নেন সঙ্গীতের চিরসবুজ গায়ক কুমার বিশ্বজিৎ। সেই থেকে সঙ্গীতাঙ্গনে তার ৩৬ বছরের পথচলা। দীর্ঘ এই ভ্রমণে অসংখ্য গান উপহার দিয়েছেন শ্রোতাদের। কণ্ঠের জাদুতে জয় করেছেন কোটি মানুষের হৃদয়।
যদিও সঙ্গীতাঙ্গনে তার আগমন ঘটে ১৯৭৭ সালে, তবে পেশাগতভাবে পদচারণা শুরু হয় ১৯৮২ সাল থেকে। ১৯৮৫ সালে নূর হোসেন বলাই পরিচালিত আলাউদ্দিন আলীর সুর-সঙ্গীতে ‘আমরা দু’জন দুটি শান্ত ছেলে’ গানে প্রথম প্লেব্যাক করেন তিনি। এরপর অসংখ্য আধুনিক ও চলচ্চিত্রের গান গেয়ে শ্রোতাদের মাত করেছেন চিরসবুজ এ গায়ক।
সঙ্গীতে দীর্ঘ তিন যুগ পার হওয়া প্রসঙ্গে কুমার বিশ্বজিৎ বলেন, ‘আমার বাবা ছিলেন ব্যবসায়ী। তার ইচ্ছে ছিল আমি যেন ব্যবসায় মনোযোগ দেই। কিন্তু মায়ের কারণেই আমার আজকের এ অবস্থানে আসা। মায়ের এ ঋণ কোনোভাবে শোধ করার নয়। এ চিন্তা করাও যেন পাপ। আমি বিশেষত কৃতজ্ঞ আমার প্রথম সুপারহিট ‘তোরে পুতুলের মতো করে’ গানের গীতিকার চট্টগ্রাম প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবদুল্লাহ আল মামুন, নকীব ভাই ও আলাউদ্দিন আলী ভাইয়ের প্রতি। এরপর অনেক সুরকার, সঙ্গীত পরিচালক, গীতিকারের গান গেয়েছি। তাদের প্রত্যেকের কাছে আমি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ। সর্বোপরি সঙ্গীতাঙ্গনে আমার আজকের অবস্থানের পেছনে যখন যেখানে গিয়েছি সেখানে ছোট্ট কোনো কাজেও যাদের সহযোগিতার হাত পেয়েছি, তাদের প্রতিও আমি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞতা জানাই। সবার দোয়া, ভালোবাসা, সহযোগিতায় আমি আজকের কুমার বিশ্বজিৎ। ছোট্ট এ ক্যারিয়ারে সঙ্গীতাঙ্গনকে আমি যা দিয়েছি, প্রতিদানে শ্রোতাদের কাছ থেকে বহুগুণ পেয়েছি। সঙ্গীত যদি মহাসমুদ্র হয় আমি তীর তো দূরের কথা বালুচরেরও দেখা পাইনি।’
উল্লেখ্য, এই গুনি শিল্পী বাংলা গানকে দেশে এবং দেশের বাইরে সমৃদ্ধ করার জন্য বিভিন্ন সংগঠন কর্তৃক বহু সম্মাননা পেয়েছেন। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন তিনবার। এত অর্জনের পরও তিনি কেবলই একজন সঙ্গীতকর্মী। নিজেকে এভাবেই পরিচয় দিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন কুমার বিশ্বজিৎ।
এসএ/