ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে ঋণ বাড়াবে প্রাইম ব্যাংক
প্রকাশিত : ২০:৪৭, ১৭ এপ্রিল ২০১৮
ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে এবং ভোক্তা ঋণ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রতিষ্ঠার ২৩তম বছরে পা রাখতে যাওয়া প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড।
মঙ্গলবার প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপনের আগে সোমবার ঢাকা ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাহেল আহমেদ এ তথ্য জানান। এ সময় ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাবিবুর রহমান, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. গোলাম রব্বানী, মো. তৌহিদুল আলম খান, সৈয়দ ফরিদুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এসএমই ও ভোক্তা ঋণ বাড়ানোর বিষয়ে রাহেল আহেমদ বলেন, ২০১৭ সালে ব্যাংকের দেওয়া মোট ঋণের ২২ থেকে ২৪ শতাংশ ছিল এসএমই ও ভোক্তা ঋণ, যা ২০২১ সাল নাগাদ ৪০ শতাংশে নিয়ে যাওয়া হবে। দেশের প্রান্তিক অঞ্চলে এসএমই ও ভোক্তা ঋণের সুফল পৌঁছে দিতে ৮০টির বেশি শাখায় বিশেষজ্ঞরা কর্মরত আছেন।
ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালে মোট বিতরণ করা ঋণের মধ্যে এসএমইতে অবদান ৯ দশমিক ২৯ শতাংশ, যা আগের বছরের তুলনায় ১৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ২ হাজার ২২৩ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।
বর্তমানে দেশের ব্যাংক খাতের ‘তারল্য সংকট’ সৃষ্টি হলেও প্রাইম ব্যাংকে এই সংকট নেই এমন মন্তব্য করে রাহেল আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক যেদিন ঋণ-আমানত অনুপাত (সিআরআর) সীমা বেসরকারি ব্যাংকগুলোর জন্য ৮৩ দশমিক ৫ শতাংশ বেঁধে দেয় সেদিনও আমাদের সিআরআর এই সীমার নিচে ছিল, আজও আছে। আমরা বরং নতুন গ্রাহকদেরও এক-দেড়শ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণ দিয়েছি।
তারল্য সংকট প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ব্যাংকিং সেক্টর বিপর্যয়ের মধ্যে আছে বলে আমি মনে করি না। চড়াই-উৎরাই থাকবেই, একটু ধৈর্য ধরতে হবে, রাতারাতি পরিবর্তন আসবে না। কেন্দ্রীয় ব্যাংক চেষ্টা করছে, সাত-আট মাসের মধ্যে পরিস্থিতি ভাল হতে শুরু করবে।
১৯৯৫ সালের ১৭ এপ্রিল ‘একটি ব্যতিক্রমধর্মী ব্যাংক’ এই স্লোগান নিয়ে যাত্রা শুরু করে প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড।
ব্যাংকের কার্যক্রম, অর্জন, আগামী দিনের পরিকল্পনা তুলে ধরে তিনি বলেন, প্রাইম ব্যাংক ২০১৫ সাল থেকে বড় পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে গেছে। গঠনগত এই পরিবর্তন প্রাইম ব্যাংককে আন্তর্জাতিক ব্যাংকগুলোর সমপর্যায়ে নিয়ে গেছে। ভবিষ্যতে আমাদের প্রধান লক্ষ্য হবে এসএমই এবং ভোক্তা ঋণ বৃদ্ধি করা। যাতে গ্রহীতাদের কাছে সহজে ঋণ পৌঁছানো যায় সেটাই চেষ্টা করব।
২০১৭ সাল শেষে ব্যাংকের আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৯ হাজার ৯০১ কোটি টাকা, বিনিয়োগ হয়েছে ১৯ হাজার ৮৩২ কোটি টাকা এবং মোট সম্পদের পরিমাণ ২৫ হাজার ৬৬০ কোটি টাকা।
আরকে//
আরও পড়ুন