কয়লার খনিতে মিলল ৬০ কেজি রুই-কাতলা-চিংড়ি
প্রকাশিত : ১৪:৫৬, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ | আপডেট: ১২:২৯, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮
কয়লার খনিতে মিলল ৬০ কেজি রুই-কাতলা-চিংড়ি। ভাবছেন নিরেট গল্প। আদতে কিন্তু তা নয়। একেবারে টাটকা খবর। বিটুমিনাস, কার্বনের বদলে খনি থেকে উঠে এসেছে রুই, কাতলা, বোয়াল, চিংড়িসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ। কয়াল খনিতে এত মাছ দেখে দৃশ্যতই অবাক খনি মালিকও। চমকে দেওয়া ঘটনাটি ঘটেছে রানিগঞ্জে ইসিএলের আমকলা কোলিয়ারিতে।
এদিকে কয়লা তুলতে গিয়ে মাছ ওঠায় আনন্দে আত্মহারা খনি শ্রমিকরা। কয়লা তোলার সরঞ্জাম ফেরে তাঁরা মাছ ধরায় মেতে উঠেন।
জানা গেছে, আমকলা কোলিয়ারিটি ইসিএলের সাতগ্রাম এলাকার অন্তর্ভুক্ত। খোলামুখ খনিটির কয়লা উত্তোলন দায়িত্ব পেয়েছে বেসরকারি সংস্থা। অনেক সময় পুরনো কয়লা খনির জমা পানিতে মাছ জন্মে। সেই অর্থে এই খনিটি পুরোনো নয়। তাই এই খনি থেকে একটি একটি আড়াই তিন কিলো ওজনের মাছ ওঠায় সবাই অবাক।
কীভাবে খনিতে এল এত এত মাছ? ওই খনির সার্ভেয়ার নয়ন চট্টোপাধ্যায় জানান, গত বর্ষায় দামোদর ও নুনী নদীর জল উপচে ঢুকে পড়েছিল খনিতে। তখন খনির উৎপাদন ব্যাহত হয়েছিল। চারমাস পাম্প দিয়ে জল টেনে কয়লা উত্তোলন করতে গিয়ে মাছের বাজার বেরিয়ে আসে খনিতে। শুধু রুই, কাতলা নয়, মিরিক, চুনোমাছও পাওয়া গিয়েছে। স্থানীয় মাছচাষী মৃত্যুঞ্জয় ধীবর জানান, সাধারণ পুকুরের থেকে খনির জমা জলে মাছের বাড় বেশি হয়। কারণ খনির জল অনেক গভীর হয়। মাছেরা খেলা করতে পারে। দ্বিতীয়ত, খনির জল স্থির নয় পুকুরের মতো। কারণ ব্লাস্টিং এর জন্য খনির জলে সবসময় কম্পন থাকে। মূলত এই দুটি কারণে খনির জলে মাছ চাষ উপযুক্ত।
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন
/ এআর /