খাঁটি সোনা চেনার ৩ উপায়
প্রকাশিত : ০৮:৪৪, ২০ নভেম্বর ২০১৮
সাজের আদলই বদলে যায় একটু সোনার ছোঁয়ায়। কিন্তু সবাই যে খুব ব্র্যান্ডেড দোকান থেকেই সোনা কিনেত পারেন এমন নয়। আবার নামী প্রতিষ্ঠান থেকে সোনা কিনলেও যে নকল সোনা হাতে আসবে না- এমনটাও জোর দিয়ে বলা যায় না।
তাই সোনা কিনতে হলে সচেতন হন। এমনিতেও এই মূল্যবান ধাতুর প্রতি কম-বেশি অনেকেরই আকর্ষণ রয়েছে। কেবল বিয়েই নয়, বিভিন্ন উপলক্ষে মানুষ ক্রয় করে থাকে। তাই এই দ্রব্যটি কেনার আগে আপনাকে সচেতন হতে হবে। সোনা যাচাইয়ের অনেক রকম নিয়ম আছে। কিন্তু তার মধ্যেও সবচেয়ে সহজ কিছু ঘরোয়া উপায় জানা থাকলে সহজে ঠকে যাবেন না।
এমনিতে আসল সোনা ২৪ ক্যারেট ওজনের, কিন্তু এতই নরম যে তা দিয়ে গয়না বানানো সম্ভব নয়। তাই সোনার সঙ্গে কিছুটা খাদ মেশালে তবেই তা থেকে গয়না বানানো যায়। গয়না প্রস্তুতির জন্য ২২ ক্যারেটের সোনা ব্যবহার করা হয়। যার মধ্যে সোনার পরিমাণ ৯১ দশমিক ৬৬ শতাংশ। সব ক্যারেটের হলমার্ক পৃথক। সোনার গয়নার ক্ষেত্রে, অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের হলমার্ক ৯১৬। হলমার্ক দেখে কিনলে ঠকার ভয় আর থাকে না। কিন্তু খরচ বাঁচাতে যারা হলমার্ক ছাড়া সোনা কেনেন, তাদের ক্ষেত্রে কী হবে? কম দামে সোনা কিনছেন বলেই কি ঠকে যেতে হবে না কি? কিছু উপায় জানা থাকলে কিন্তু কম খরচে সোনা কিনলেও দেখে নিতে পারেন তা আসল কি-না।
১. সাদা চিনেমাটির প্লেট নিন। সোনার গয়না তাতে ঘষলে কী রং দেখাচ্ছে? যদি হালকা সোনালি রং দেখায়, তাহলে নিশ্চিন্ত থাকুন, এ সোনা খাঁটি। যদি রং কালচে হয়, তাহলে তা নকল সোনা।
২. সোনার পদক পাওয়া খেলোয়াড়রা অনেক সময় সেই মেডেলে কামড় দেন। এটা বর্তমানে ‘স্টাইল স্টেটমেন্ট’ হয়ে উঠলেও এর আসল কারণ কিন্তু সোনার খাঁটিত্ব বিচার। কেনা সোনায় হালকা করে কামড় দিয়ে রাখুন অল্প কিছুক্ষণ। যদি সোনা আসল হয় তার উপর কামড়ের দাগ পড়বে।
৩. পাত্রে কিছুটা পানি নিয়ে কিনে আনা সোনা সেই পানিতে ফেলে দিন। যদি সোনা ভাসে, তবে জানবেন তা নকল। আসল সোনা সঙ্গে সঙ্গে ডুবে যাবে।
সূত্র: আনন্দবাজার
একে//