খালেদা জিয়ার প্রার্থিতা নিয়ে বিতর্ক
প্রকাশিত : ১০:২২, ১৩ নভেম্বর ২০১৮ | আপডেট: ১০:২৪, ১৩ নভেম্বর ২০১৮
দুর্নীতির দুই মামলায় ১৭ বছরের সাজা নিয়ে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অযোগ্য হতে পারেন- এমন শঙ্কার মধ্যেও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া তিনটি মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। খালেদা জিয়ার পক্ষে ফেনী-১, বগুড়া-৬ ও বগুড়া-৭ আসনের মনোনয়নপত্র তুলেছে দলটি।
তবে খালেদা জিয়া আদৌ নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন কি-না তা নিয়ে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। কারণ গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে প্রার্থীর যোগ্যতা ও অযোগ্যতা সম্পর্কে বলা আছে-কোনও ব্যক্তি আদালতে দুই বছর বা তার বেশি সময়ের জন্য কারাদণ্ডে দণ্ডিত হলে তিনি নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে অযোগ্য হবেন।
নির্বাচনে অংশগ্রহণ নিয়ে আইনজ্ঞদের কাছ থেকে দুই ধরনের বক্তব্য পাওয়া যাচ্ছে। খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা বলছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। সাজা হওয়ার পরও নির্বাচনে অংশগ্রহণের নজির ক্ষমতাসীন দলের মধ্যেই আছে। অন্যদিকে, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা বলছেন, কোনোভাবেই খালেদা জিয়ার নির্বাচন করা সম্ভব নয়।
এদিকে, আদালতের এমন রায়ের বিরুদ্ধে কেউ উচ্চআদালতে আপিল করলে সেই ব্যক্তি নির্বাচন করতে পারবেন কি-না সে বিষয়ে ইসি কোনও ব্যাখ্যা দেয়নি।
তবে মামলা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দুর্নীতির দুই মামলায় সাজা পাওয়া খালেদা জিয়ার আপিলসহ আইনি সব প্রক্রিয়া জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে শেষ হওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ।
এদিকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার নির্বাচনে প্রার্থিতার বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম।
তবে খালেদা জিয়া রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হলে কমিশনে আপিল করতে পারবেন। এখানে রায় বিপক্ষে গেলে তার আদালতে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
সাবেক আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, খালেদা জিয়া একটাতে ১০ বছর এবং আরেকটাতে সাত বছর সাজাপ্রাপ্ত হয়েছেন। তিনি আপিল করার সুযোগ পেলেও আপিল শুনানি করে নির্দোষ প্রমাণের বিষয়টি সময়সাপেক্ষ। কাজেই এই পরিস্থিতিতে সংবিধানে যে বিধান আছে তাতে তিনি অযোগ্য হবেন। ফলে নির্বাচনে অংশ নিতে তিনি পারবেন বলে আমার মনে হয় না।
একে//
আরও পড়ুন