খুললো সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান
প্রকাশিত : ০৮:২৪, ১৮ আগস্ট ২০২৪
আজ রোববার থেকে খুলেছে দেশের সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। দীর্ঘ ১ মাস বন্ধ থাকার পর পাঠদান কক্ষে ফিরছে শিক্ষার্থীরা।
দেশব্যাপী কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সংঘর্ষ ও প্রাণহানির ঘটনায় শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে গত ১৬ জুলাই বন্ধ ঘোষণা করা হয় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট। একইদিন রাতে বন্ধ ঘোষণা করা হয় দেশের সব সরকার, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশনার আলোকে গত বৃহস্পতিবার এ সংক্রান্ত এক আদেশ জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ। তবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আদেশের আলোকে গত বুধবার থেকেই পুরোদমে চলছে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, এরই মধ্যে ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য পদত্যাগ করেছেন। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়েরই উপ-উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, রেজিস্ট্রার পদত্যাগ করেছেন। যাঁরা এখনও আছেন, তাঁদের অনেকেই বিশ্ববিদ্যালয়ে আসছেন না।
তাই ক্লাস হওয়া নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে। কারণ শীর্ষ পদগুলো শূন্য থাকায় ক্লাস শুরুর সিদ্ধান্তই নিতে পারেনি কিছু বিশ্ববিদ্যালয়। আবার ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করাসহ শিক্ষার্থীদের সব দাবি দাওয়া পূরণ না হাওয়ায় তারা ক্লাসে ফিরবেন কি না তা নিয়েও শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকেও শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফেরার আহ্বান জানানো হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে বলা হয়েছে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করার জন্য প্রধান উপদেষ্টা সদয় নির্দেশনা প্রদান করেছেন।
কোটা সংস্কার ঘিরে গড়ে ওঠা আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৭ জুলাই থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। এরপর গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার পর ৬ আগস্ট থেকেই সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার নির্দেশনা আসে। সে আলোকে বেশির ভাগ স্কুল-কলেজ খুলেছে, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর হল খুলেছে।
আবার কিছু প্রতিষ্ঠান বন্ধও ছিল। তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এই আদেশের ফলে আজ রোববার থেকে সব মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানে শ্রেণি কার্যক্রম পুরোপুরিভাবে শুরু হবে।
এএইচ
আরও পড়ুন