খোকসায় গরুর খামারে স্বাবলম্বী হচ্ছেন খামারিরা
প্রকাশিত : ২১:৫৭, ১০ জুন ২০২৪
পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার আমবাড়িয়া ইউনিয়নের মর্জিনা ও দুলাল কৃষক দম্পতি দু'বছর আগে ক্রয় করেছিলেন , ধলা, লাল ও রাজা নামে তিনটি গরু। গতকাল অর্থের কাছে তাদের ভালবাসাটা বিক্রি করতে বাধ্য হল। এভাবে বলছিল কৃষক দম্পতির মর্জিনা ও দুলাল।
খোকসা উপজেলায় বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চল ঘুরে দেখা যায় অনেকেই পারিবারিক খামার করে স্বাবলম্বী হয়েছেন । বছরে আয় করছেন লক্ষ লক্ষ টাকা । ফুলবাড়ী নিজাম হোসেন প্রামানিকের খামারে রয়েছে ৭টি গরু, আনোয়ার আলী প্রামানিকের খামারে ১৬ টি গরু, রাধানগর মজিদের খামারে১২ টি গরু, ফিরোজের খামারে ১২টি গরু, মহিষবাথান আসলামের খামারে৮টি গরু, কালাইকান্দি শেখর আলী খামার ৭টি গরু, মহিষবাথান আজাদ বিশ্বাসের খামারে ৮টি গরু, ঝালুকাদহ রহমত আলীর খামারে ৩২ টি গরু রয়েছে ।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস সূত্রে জানা গেছে, কোরবানি উপলক্ষে উপজেলার নয়টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার মোট ১৮হাজার ৮৩০ জন খামারিরা ২৮ হাজার ৫৬৬ টি গবাদি পশু মোটাতাজাকরণ করেছে। এদের মধ্যে ষাঁড় গরু রয়েছে ৫ হাজার ৭৮০ টি, ছাগল খাসি ১৮ হাজার ৬৭২টি, ভেড়া ১ হাজার ৬৮৩ টি, মহিষ ১৯৯টি এবং গাভী ২ হাজার ২৪২টি মোটাতাজাকরণ করা হয়েছে।
প্রতি বছরের ন্যায় কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার স্থানীয় কৃষকরা নিজেদের বাৎসরিক আয় বন্ধন প্রকল্পের আওতায় গরু মোটাতাজাকরণ কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। খামারিয়া রহমত আলী বলেন, গো-খাদ্যের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধি ও বিভিন্ন সময়ে রোগে গবাদি পশুর মৃত্যু সহ নানাবিধ কারণে মোটাতাজাকরণ কার্যক্রমে এখন আর লাভের মুখ তারা দেখছে না।
আমবাড়ীয়া ও জয়ন্তীহাজরা সহ গোপগ্রাম ইউনিয়নের প্রায় হাজার খানেক কৃষকরা নিজ বাড়িতেই গবাদি পশু লালন পালন করে তাদের জীবন জীবিকা নির্বাহ করেন । উপজেলা ভেটেনারি সার্জন জাকির হোসেন বলেন, প্রতিদিন গড়ে দেড়শ থেকে দুইশত পশুকে বিভিন্ন সময় চিকিৎসা সেবা সহ অন্যান্য সেবা প্রদান করা হচ্ছে।
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা শাহিনা বেগম জানান, প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরেও খোকসা উপজেলার কোরবানি পশুর চাহিদা থেকেও প্রায় চার গুণ বেশি পশু মোটাতাজাকরণ করা হয়েছে। নিজেদের চাহিদা পূরণ করে অন্য জেলায় কোরবানির চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন