খোকসায় মোবাইল কোর্টে ৫ফার্মেসীকে জরিমানা
প্রকাশিত : ২১:০৬, ৬ মার্চ ২০২৪
অনুমোদনহীন ফার্মেসি মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ বিক্রয় ও দোকানের লাইসেন্স না থাকায় উপজেলার আমবাড়ীয়া, গোপগ্রাম ও জয়ন্তী হাজরা ইউনিয়নের ৫ ফার্মেসিতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ১৩ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করেছেন।
কুষ্টিয়ার ড্রাগ লাইসেন্স পরিদর্শক মিঠুন কুমার ঘোষের অভিযোগের প্রেক্ষিতে মোবাইল কোর্টের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি বিধান কান্তি হালদার বিকেলে এই অভিযান পরিচালনা করেন। অভিযানে উপজেলার গোপগ্রাম ইউনিয়নের মা ফার্মেসির মালিক আতিয়ার রহমানকে ৫ হাজার টাকা, ধোকড়াকোল বাজারের আল আহাদ ও মুস্তান ফার্মেসি মালিক জালাল উদ্দিন কে ২ হাজার টাকা , মিঠু মেডিকেলের মালিক কাউসার আহমেদকে ১ হাজার টাকা, ভবানীগঞ্জের ওষুধের দোকানদার ফিরোজ খানকে ৫ হাজার টাকা ও সড়কে খোলা ট্রাকে করে বালি বহন করার অপরাধে ড্রাইভার বাদশাহ মিয়াকে ৫০০ টাকা সর্বমোট ১৩৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি বিধান কান্তি হালদার স্থানীয় সাংবাদিকদের বলেন, ঔষধ ও কসমেটিক নিয়ন্ত্রণ আইন ২০২৩ এর ৪০ এর (গ) ধারা মোতাবেক অভিযুক্ত ফার্মেসি মালিকদের কাছ থেকে এ অর্থদণ্ড আদায় করা হয়।
জানা যায়, কুমারখালী ও খোকসাতে অবৈধ ফার্মেসী ও ক্লিনিক ব্যাঙের ছাতার মত গড়ে উঠেছে । এসব ক্লিনিক ও ফার্মেসির কোন লাইসেন্স নেই । মাঝেমধ্যে অভিযান পরিচালনা করলেও আবারও এসব অবৈধ ব্যবসায়ীরা প্রশাসনের তোয়াক্কা না করে হর হামেশা ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে । যা পরবর্তী প্রতিবেদনগুলোতে উঠে আসবে বিস্তারিত । অন্যদিকে সড়ক গুলোতে ট্রাকে বালু আনা নেয়ার কারণে পরিবেশ দূষিত হচ্ছে । ব্যবহার করছে না ত্রিপল । ফলে এলার্জি ঠান্ডা ফুসফুসের বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিচ্ছে । স্কুল কলেজগামী ছেলেমেয়েদের পোশাক নষ্ট হচ্ছে প্রচন্ড ময়লা বালুতে । ট্রাকের স্পিড বেশি থাকার কারণে মাঝেমধ্যে সড়ক দুর্ঘটনা হচ্ছে । প্রশাসন একটু নজর দিলেই এসব দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পাবে বলে মনে করছেন সচেতন মহল ।
আরও পড়ুন