খোকসা রেলওয়ে স্টেশনে ভোগান্তিতে যাত্রীরা
প্রকাশিত : ২২:০১, ২৫ মে ২০২৪
কুষ্টিয়া জগতি থেকে ১৮৭১ সালে ৭৫ কিলোমিটার গোয়ালন্দঘাট লাইনের স্টেশন হিসেবে খোকসা রেলওয়ে স্টেশন তৈরি করা হয়। বর্তমানে তিনজন কর্মচারী নিয়ে ধামাচাপা চলছে খোকসা রেলওয়ে স্টেশনের কার্যক্রম। জনবল সংকটে থাকায় খোকসা রেলওয়ে স্টেশনের ট্রেনের যাত্রীদেরকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে প্রতিনিয়ত। নির্ধারিত সময়ে গন্তব্যস্থলে পৌঁছাতে পারছেন না যাত্রীরা।
রেলওয়ে স্টেশনে প্রতিমাসে ১৫ লক্ষ টাকা আয় বলেও জানান এক কর্মকর্তা। দীর্ঘদিন যাবত খোকসা স্টেশনে মাস্টার না থাকায় কোন গাড়ির করাচিন দেওয়া সম্ভব হয় না। একজন মাত্র বুকিং সহকারি সজল মাহমুদকে দিয়ে খোকসা রেলওয়ে স্টেশনের সমস্ত কার্যক্রম পরিচালনা করছেন । এ ব্যাপারে আরো বিস্তারিত জানতে চাইলে তারা বিষয়টি এড়িয়ে যান এবং নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক করেন । গাড়ি জন্য অন্য গাড়ির অপেক্ষা করতে হয় ঘন্টার পর ঘন্টা । এতে নির্ধারিত টাইমে যাত্রীরা গন্তব্য স্থানে পৌঁছাতে পারেনা। ট্রেনের যাত্রী তাপস কুমার সরকার ও আনন্দ কুমার দাস বলেন, প্রতিদিন খোকসা স্টেশনে এরকম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে ।
ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে ও মানববন্ধন করেও এর সমাধান মেলেনি । আমরা সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছাতে চাই । এ ব্যাপারে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তারা । বর্তমানে সিঙ্গেল লাইন দিয়ে ঢাকা পর্যন্ত ছয়টি গাড়ি চলাচল করে। পদ্মা সেতু হওয়ার পর থেকে এই লাইনে গাড়ির চাপ বেড়েছে দ্বিগুণ । খোকসা স্টেশনে জনবল বাড়েনি বরং কমেছে ফলে হিমশিম খেতে হচ্ছে ব্যবসায়ী ,চাকরিজীবী এবং সাধারণ মানুষের ।
আরও পড়ুন