গতি ১১০ কিমি, আরও তীব্র হতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’
প্রকাশিত : ১৪:২৭, ২৪ অক্টোবর ২০২৪ | আপডেট: ১৪:২৯, ২৪ অক্টোবর ২০২৪
পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি পশ্চিম-মধ্য দিকে সরে গেছে এবং ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ উত্তর-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে এখন পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও তীব্র হতে পারে।
আজ বৃহস্পতিবার ঘূর্ণিঝড় সতর্কীকরণ কেন্দ্রের সর্বশেষ বুলেটিনে এ কথা বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়টি আজ ভোর ৬টায় চট্রগ্রাম বন্দর থেকে প্রায় ৫’শ ৯৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্র বন্দর থেকে ৫শ’ ৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা বন্দরের ৪শ’ ৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ এবং পায়রা বন্দর থেকে ৪শ’ ৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিল।
এটি আরও ঘণীভূত হয়ে উত্তর-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ভয়াবহ ঘূণিঝড়ের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও এর উপকূলীয় দ্বীপ এবং বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় দমকা বা ঝড়ো হাওয়াসহ ভারি (৪৪-৮৮ মিমি) থেকে খুব ভারি (৮৯ মিমি) বৃষ্টিপাত হতে পারে।
তীব্র ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৬৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা গতিবেগ ঘন্টায় সর্বোচ্চ ৯০ কিলোমিটার। যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১১০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে। ঘুর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই উত্তাল থাকতে পারে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার সব নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে, যাতে তারা স্বল্প সময়ের মধ্যে নিরাপদ আশ্রয় নিতে পারে।
এএইচ
আরও পড়ুন