গনোরিয়াকে অপ্রতিরোধ্য করছে ওরাল সেক্স
প্রকাশিত : ১১:৩১, ৮ জুলাই ২০১৭ | আপডেট: ২১:১৫, ১৮ জুলাই ২০১৭
মুখমেহন বা ‘ওরাল সেক্স’ গনোরিয়া রোগের জীবাণুকে এন্টিবায়োটিক প্রতিরোধী ভয়ঙ্কর মাত্রায় নিয়ে যাচ্ছে। কোন কোন ক্ষেত্রে এর নিরাময় প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা-ডব্লিউএইচ’র বরাত দিয়ে বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
প্রসঙ্গত, গনোরিয়ার জীবাণু সাধারণত যৌনাঙ্গ, মলদ্বার ও গলার ভেতরে সংক্রমণ ঘটায়। এর মধ্যে গলার সংক্রমণই চিকিৎসকদের সবচেয়ে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ডব্লিউএইচ’র প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রতি বছর বিশ্বে প্রায় সাত কোটি ৮০ লাখ মানুষ এ রোগের সংক্রমণের শিকার হচ্ছেন, যা অনেকের ক্ষেত্রে সন্তান জন্মদানে অক্ষমতার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যৌন সংসর্গের মাধ্যমে ছড়ানো এই রোগের জীবাণু অ্যান্টোবায়োটিকের বিরুদ্ধে দ্রুত প্রতিরোধ ক্ষমতা অর্জন করছে। অ্যান্টোবায়োটিক উদ্ভাবনে সাফল্য না আসায় পরিস্থিতি নাজুক হয়ে পড়েছে। জাপান, ফ্রান্স ও স্পেনের তিনটি ঘটনা পাওয়া গেছে, যেখানে গনোরিয়া পুরোপুরি নিরাময় সম্ভব নয়।
ডব্লিউএইচ’র বিশেষজ্ঞ থিওডোরা উয়ি গণমাধ্যমকে বলেন, গনোরিয়ার জীবাণুকে খুবই স্মার্ট বলতে হবে। যতবার আপনি নতুন অ্যান্টিবায়োটিক দিয়ে এর চিকিৎসা করতে চাইবেন, ততবারই তা প্রতিরোধের ক্ষমতা অর্জন করবে। গনোরিয়া সংক্রমণ সবচেয়ে বেশি ঘটছে গরিব দেশগুলোতে বলেও জানান তিনি।
যুক্তরাষ্ট্রে সমকামী পুরুষদের মধ্যে গলবিলের (ফ্যারিংক্স) সংক্রমণের মাধ্যমে গনোরিয়া জীবাণুর এন্টিবায়োটিক প্রতিরোধী হয়ে ওঠার প্রমাণ পাওয়ার কথাও জানান এ বিশেষজ্ঞ।
সুরক্ষা ছাড়া যৌন সংসর্গের মাধ্যমে নেইসেরিয়া গনোরিয়া সংক্রমিত হয়। আক্রান্ত পুরুষদের মধ্যে প্রতি ১০ জনে একজন ও নারীদের তিন চতুর্থাংশ। সমকামী পুরুষদের ক্ষেত্রে এ রোগের লক্ষণ সহজে শনাক্ত করা যায় না।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এ রোগের লক্ষণ যখন প্রকাশিত হয়, তখন যৌনাঙ্গ থেকে হলুদ বা সবুজাভ পুঁজের মত বের হতে পারে। প্রস্রাবের সময় জ্বালাপোড়া বা প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যেতে পারে৷ নারীদের ক্ষেত্রে যোনিপথ ও মূত্রনালিতে জ্বালা-পোড়া, পুঁজের মত হলুদ স্রাব, তলপেটে ব্যথা ও ঋতুস্রাবে জটিলতা দেখা দিতে পারে।
//আর//এআর