ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪

গরমে এনার্জি ড্রিঙ্ক ডেকে আনছে মারাত্মক বিপদ

প্রকাশিত : ২৩:১১, ৭ জুন ২০১৯

গরমে শরীর নাজেহাল। শক্তিক্ষয় রুখে চাঙ্গা হতে হাতের কাছে খড়কুটোর মতো আঁকড়ে ধরছেন এনার্জি ড্রিঙ্ককে। শীতল হতে কেউ কেউ মিশিয়ে নিচ্ছেন বরফ, আবার কেউ বা দিনে দু’-তিন বার বরফটরফ ছাড়াই চুমুক দিচ্ছেন এনার্জি ড্রিঙ্কে। ক্লান্তি কমে কিছুটা শক্তিও আসছে বটে। এ অভ্যাসের দাস একা এ দেশ নয়, বরং গোটা বিশ্বেই ছবিটা কমবেশি একই। পানিতে অরুচি এলে সঙ্গে থাকা এই পানীয়ের বোতলটিই ভরসা জোগাচ্ছে তরুণ প্রজন্মকে।

তবে এই অভ্যাসকে অসুখবাহী বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। সম্প্রতি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে-ও এই পানীয়জনিত বিপদ সম্পর্কে অভিভাবকদের সতর্ক করেছেন। শুধু ছোটরা নয়, সব বয়সের জন্যই এই পানীয় ক্ষতিকর।

পুষ্টিবিদদের হিসাব অনুযায়ী, একটি ৩৩০ গ্রাম এনার্জি ড্রিঙ্কের বোতলে প্রায় ১০ শতাংশ জুড়ে থাকে সুগার ও ক্যাফিন। এর জেরে ওবেসিটি, টাইপ ২ ডায়াবিটিস ও মানসিক অস্থিরতার সমস্যা তৈরি হতে পারে। এ সব ছাড়াও রয়েছে আরও কিছু ভয়ের কারণ।

‘আমেরিকান হার্ট অ্যাসোশিয়েশন’-এর নতুন সমীক্ষা শঙ্কা জাগানোর জন্য যথেষ্ট। ১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সি ৩৪ জন সুস্থ মানুষের উপর তিন দিন গবেষণা চালিয়ে দেখা গিয়েছে, প্রতি দিন এক লিটার বা তার বেশি এই ধরনের পানীয় যারা খান, তাদের রক্তচাপ সুস্থ মানুষের থেকে বেড়ে যায়। একইসঙ্গে হৃদস্পন্দনের গতিও স্বাভাবিক থাকে না।

প্যাসিফিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসির অধ্যাপক সচিন এ শাহ একটি প্রতিবেদনে জানিয়েছেন, শুধু ক্যাফিন নয়, এই ধরনের পানীয়তে টাওরিন (এক ধরনের অ্যামিনো অ্যাসিড), গ্লুকুরোনোল্যাকটোন জাতীয় বহুবিধ উপাদান থাকে। এই পানীয়গুলি যত কম খাওয়া যায় ততই মঙ্গল।

চিকিৎসকরা বলছেন, এনার্জি ড্রিঙ্ক থেকে শরীরে অতিরিক্ত চিনি প্রবেশ করে। এই ধরনের পানীয়ে অনেক ক্ষেত্রেই কৃত্রিম চিনি বা অ্যাসপার্টেম মজুত থাকে, যা ডায়াবিটিস ডেকে আনার জন্য যথেষ্ট। তার সঙ্গে প্রিজারভেটিভ যুক্ত থাকার দরুণ শরীরে বাসা বাঁধে নানা চর্মরোগের জীবাণু, লিভারের উপরেও সরাসরি কুপ্রভাব বিস্তার করে এই সব উপাদান। তাই জল, ডাবের জল, নুন-মধুর জল, লেবু-মধু জল এ সব খেয়েই দরমে চাঙ্গা থাকুন।

বিভিন্ন দেশে বিক্রি হওয়া বেশ কিছু এনার্জি ড্রিঙ্ক ইতিমধ্যে নিষিদ্ধ করেছে নরওয়ে ও ডেনমার্কের মতো দেশ। ব্রিটেনে শিশুদের কাছে এই ধরনের পানীয় বিক্রি রীতিমতো নিষিদ্ধ। চিকিৎসকেরা সতর্ক করে বলছেন, বিলম্বিত হলেও দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন।

সূত্র-আনন্দবাজার

আই/আরকে


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি