গরু চুরি রোধে লাঠি-বাঁশি নিয়ে গ্রামবাসীর পাহারা
প্রকাশিত : ১৮:১১, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ | আপডেট: ১৮:১২, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯
উত্তরের জেলা পাবনায় হঠাৎ করেই বেড়ে গেছে গরু-মহিষ চুরির ঘটনা। প্রায় প্রতিরাতে বিভিন্ন গ্রামে হানা দিচ্ছে সংঘবদ্ধ চোরের দল। একের পর এক চুরির ঘটনায় দিশেহারা ক্ষতিগ্রস্ত দরিদ্র মানুষগুলো। চুরি নিয়ে আতংক আর উৎকন্ঠা বিরাজ করছে খামারীদের মাঝেও। এর মধ্যে চোরের দলকে ঠেকাতে তাদেরই গাড়িচাপায় প্রাণ গেছে একজনের। তাই চোরের দলকে প্রতিরোধ করতে দলবদ্ধভাবে মাঠে নেমেছে গ্রামবাসী। লাঠি-বাঁশি নিয়ে রাত জেগে পালাক্রমে পাহাড়া দিচ্ছে নিজেদের পাড়া-মহল্লা।
গত ১৬ জানুয়ারি ভোররাতে পাবনার চাটমোহর উপজেলার হরিপুর থেকে মহিষ চুরি করে কাভার্ডভ্যানে নিয়ে পালাচ্ছিল সংঘবদ্ধ চোরের দল। পথিমধ্যে রামনগর ঘাট এলাকায় ওই গাড়িটি থামানোর চেষ্টা করলে চোরের দলের কাভার্ডভ্যান চাপায় মারা যায় রব্বান আলী নামের এক ব্যক্তি। শুধু চাটমোহর নয়, জেলার বিভিন্ন উপজেলায় আশঙ্কাজনকহারে বেড়ে গেছে গরু-মহিষ চুরির ঘটনা। গত এক মাসে জেলার নয়টি উপজেলায় শতাধিক গরু ও মহিষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। আর সবার চোখে ধুলো দিতে কৌশলে পিকআপ ও কাভার্ডভ্যান ব্যবহার করছে চোরের দল। চুরির ঘটনায় দিশেহারা এনজিও থেকে ঋণ তুলে গরু কেনা ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ। তাই এবার চুরি বন্ধে ও চোরদের প্রতিহত করতে লাঠি-বাঁশি নিয়ে মাঠে নেমেছে গ্রামবাসী। পাড়া-মহল্লায় কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে রাত জেগে গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পালাক্রমে পাহাড়া দিচ্ছে তারা। তাদের সঙ্গে রয়েছে গ্রাম-পুলিশ ও ইউপি সদস্যরা।
স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা জানান, এলাকাবাসীকে ঐক্যবদ্ধ করে গ্রামে প্রবেশ ও বাহির মুখসহ বিভিন্ন পয়েন্টে পাহাড়া বসানো হয়েছে। তাদের সঙ্গে গ্রাম-পুলিশ ও ইউপি সদস্যরাও কাজ করছেন। সবাই এভাবে সজাগ থাকলে শুধু চুরি-ডাকাতি নয়, মাদক পাচারও বন্ধ হবে বলে মনে করেন তারা।
এসএইচ/
আরও পড়ুন