ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

গর্ভাবস্থায় ডিম খাওয়ার উপকারিতা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৬:০২, ৯ অক্টোবর ২০১৭

ডিম পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার। এ জন্য ডিমকে  সুপারফুড হিসেবে অখ্যায়িত করা হয়।ডিমে প্রয়োনীয় পুষ্টি উপাদান প্রোটিন,ফ্যাট,মিনারেল রয়েছে ।  যার ফলে এটা স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভাল। এটা যেকোনো গর্ভবতী মহিলার খাদ্য তালিকায় অবশ্যই থাকা উচিত।

গর্ভাবস্থায় অতি প্রয়োজনীয় সেলেনিয়াম, জিঙ্ক,ভিটামিন এ,ডি ও কিছু বি কমপ্লেকস যা ডিমের মধ্যে রয়েছে। তাই এই অবস্থায় ডিম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী ।তবে  ডিম খাওয়ার আগে তা ভালোভাবে বেছে নিতে হবে ।ডিমগুলো  ঠিক আছে কি না এবং  স্বাস্থ্যের জন্য  নিরাপদ কি না তা আগে থেকেই পরীক্ষা করে নিতে হবে । বাইরের সেলফে না রেখে সবসময় ফ্রীজে রাখুন ।

খারাপ গন্ধ যুক্ত ডিম খাবেন না ।সেদ্ধ বা রান্না করা ডিম দুঘন্টার মধ্যে খেয়ে নেবেন।কাঁচা বা অর্ধেক সেদ্ধ করা ডিম খাবেন না। এতে সালমোনেল্লা সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে।যেটা সন্তানের মধ্যেও যেতে পারে।

এইসব নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছাড়াও,গর্ভাবস্থায় দিনে দুটোর বেশি ডিম না খাওয়াই ভাল।এছাড়াও ডিমের কুসুম খাওয়া এড়ান, কারণ এতে ভরপুর কোলেস্টারল যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক।আবার কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে, কোলেস্টারল সমৃদ্ধ হলেও ডিমে স্যাটিউরেটেড ফ্যাট কম যার ফলে এটা খুবই স্বাস্থ্যকর। ডিম খাওয়ার আগে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা উচিত ।  গর্ভাবস্থায় ডিম খাওয়ার কিছু উপকারিতা নিম্নে তুলে ধরা হলো ।

প্রোটিন

ডিম প্রোটিন সমৃদ্ধ, যেটা গর্ভাবস্থায় খুব দরকার।বেড়ে ওঠা বাচ্চার প্রতিটা কোষ প্রোটিন দিয়ে তৈরী। তাই এই সময় সীমিত মাত্রায় ডিম খাওয়া বাচ্চার জন্য খুব ভাল।

শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশ

ডিমে আছে কোলিন ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি এ্যাসিড। এগুলো শিশুর সার্বিক গঠন ও মস্তিষ্কের বিকাশের জন্যও খুব জরুরী।

কোলেস্টরাল 

যেসব মহিলার ব্লাড প্রেসার স্বাভাবিক তারা দিনে একটা বা দুটো ডিম থেতে পারেন।যদি কোলেসটারল মাত্রা এমনিতেই বেশি থাকে,তাহলে ডিমের কুসুমটা এড়িয়ে চলাই ভাল।

ক্যালরি

গর্ভবতী মহিলারা নিজেদের শরীর ও বাড়ন্ত বাচ্চার স্বাস্থ্যের জন্য প্রতি দিন বাড়তি ২০০-৩০০ ক্যালোরি  খাওয়া উচিত ।ডিমে আনুমানিক ৭০ ক্যালোরি থাকে যেটা স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজন ।

কিভাবে  খাবেন

আপনি যখন সন্তানসম্ভবা,কখনই কাঁচা বা অর্ধেক সেদ্ধ করা ডিম খাবেন না। এতে সালমোনেল্লা সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকে। এই সংক্রমণের ফলে সময়ের আগে প্রসব,ইউটেরাসের সঙ্কোচন, ডায়েরিয়া ও বমি হতে পারে।পুরো সেদ্ধ বা রান্না করা ডিম খাওয়াই স্বাস্থ্যের জন্য ভাল।

যত্ন

আপনি যদি ডায়েরিয়া,বমি বা ফুড পয়জনিং-এ ভোগেন তাহলে সঙ্গে সঙ্গে ডাক্তার দেখান।কিছু কিছু গর্ভবতী মহিলার হজম শক্তি দুর্বল থাকে। যার ফলে ডিম হজম করা কষ্টকর হয় ।

সূত্র:বোল্ড স্কাই

এম/এআর


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি