ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে জানবেন যেভাবে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:৪৩, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ২০:৪৫, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৭

গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে এ নিয়ে গর্ভবতী মা-বাবাসহ সবার মাঝেই কৌতূহলের শেষ থাকে না। একদিকে মায়ের গর্ভে সন্তান বড় হতে থাকে অন্য দিকে বাড়তে থাকে নানা জল্পনা-কল্পনা। এ নিয়ে নিকট আত্মীয়দের মাঝেও চলে নানা বিচার বিশ্লেষণ।

অনেক সময় মা-দাদি-নানিরা গর্ভবতী মায়ের কিছু লক্ষণ দেখে গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে, তা বলার চেষ্টা করেন। তবে গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে, তা জানার জন্য বর্তমানে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি আবিষ্কার হয়েছে। এর মধ্যে আল্ট্রাসনোগ্রাফি খুব সহজ পদ্ধতি এবং এতে কোনো ক্ষতিকর দিক নেই।

আলট্রাসনোগ্রাফি করাতে এসে সব মা চিকিৎসকের কাছে জানতে চান গর্ভের সন্তান ছেলে না মেয়ে। আলট্রাসনোগ্রাফি করে গর্ভের সন্তান দেখা যায়। গর্ভাবস্থার ২০-২২ সপ্তাহ থেকেই তা প্রায় সঠিকভাবে বলে দেয়া যায় ছেলে নাকি মেয়ে সন্তান।

ভারতীয় বংশোদ্ভূত কানাডার গবেষক রবি রত্নাকরণ বলেন, আর্ট্রাসনোগ্রাফির বাইরে গর্ভবতী মহিলার রক্তচাপ থেকেই জানা যাবে গর্ভের সন্তান মেয়ে না ছেলে। কানাডার মাউন্ট সিনাই হাসপাতালের এই চিকিৎসক জানান, যদি গর্ভবতী মহিলার প্রসবের আগে রক্তচাপ কম থাকে, তাহলে সেই মহিলা কন্যা সন্তান প্রসব করবেন। আর যদি রক্তচাপ বেশি থাকে, তাহলে পুত্র সন্তানের জন্ম দিবেন।

গবেষক দল চীনের লুইয়াং শহরে গত সাত বছর ধরে ৩৩৭৫ জন গর্ভবতী মহিলার উপর পরীক্ষা করেছে। তাদের মধ্যে ১ হাজার ৬৯২ জনের রক্তচাপ, কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইড এবং গ্লুকোজের মূল্যায়ন করা হয়। তাদের মধ্যে ৭৩৯ জনের ছেলে ও ৬২৭ জনের মেয়ে হয়। দীর্ঘ পর্যবেক্ষণের পরই গবেষক দল এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন।

চিকিৎসক রবি রত্নাকরণ জানান, প্রসবের আগের রক্তচাপের ওঠানামা অনেক কিছুই নির্দেশ করে। আমরা পরীক্ষা করে দেখেছি, যদি প্রসবের আগে গর্ভবতী মহিলার রক্তচাপ কমে যায়, তাহলে নিশ্চিত তিনি কন্যা সন্তানের জন্ম দিচ্ছেন। যদি রক্তচাপ অনেকটা বেড়ে যায়, তাহলে বুঝবেন তিনি পুত্র সন্তানের জন্ম দিচ্ছেন।

আর/ডব্লিউএন

 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি