গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আরও ৩৭ ফিলিস্তিনি নিহত
প্রকাশিত : ০৯:৪১, ৫ নভেম্বর ২০২৪
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৩৭ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ২৫ জন উত্তর গাজার। এ ছাড়া নিহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। চিকিৎসা সূত্রের বরাতে মঙ্গলবার (০৫ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এসব এসব তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা।
সোমবার দিনের শুরুতে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী উত্তর গাজার দুটি আবাসিক ভবনে একাধিক বিমান হামলা চালায়। এতে সেখানে ১৫ জন নিহত হন। এ ছাড়া ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ভারী আর্টিলারি এবং ড্রোন হামলাও চালিয়ে যাচ্ছে।
জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের উত্তরের অংশ থেকে বিতাড়িত হয়ে বেইত লাহিয়ায় আশ্রয় নেয়া মানুষদের ওপর হামলা চলছে। বাড়ি থেকে বাধ্যতামূলকভাবে বের করে দেয়ায় এই এলাকায় অধিকাংশ মানুষ জড়ো হয়েছেন। তবে অপ্রত্যাশিতভাবে তাদের বোমার টার্গেট করা হচ্ছে।
স্বাস্থ্যসেবার দিক থেকে পুরো উত্তর গাজা অঞ্চলটি সম্পূর্ণরূপে চিকিৎসা সেবা ছাড়া রয়েছে। আহতদের কামাল আদওয়ান হাসপাতাল বা আল-আওদা হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। তবে সেখানে কোনো চিকিৎসা সেবা পাওয়া যাচ্ছে না। কারণ ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এই সকল চিকিৎসা প্রতিষ্ঠানকে অচল করে দিয়েছে। ফলে পরিস্থিতি ইতিমধ্যেই বাস্তুচ্যুত ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত গাজার জনসংখ্যার জন্য আরও জটিল এবং আরও চ্যালেঞ্জিং রূপ ধারণ করছে।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর হামাসের নজিরবিহীন আন্তঃসীমান্ত হামলার পর থেকে ইসরায়েল গাজা উপত্যকায় অবিরাম বিমান ও স্থল হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েলি এই হামলায় হাসপাতাল, স্কুল, শরণার্থী শিবির, মসজিদ, গির্জাসহ হাজার হাজার ভবন ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে।
এছাড়া ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে প্রায় ২০ লাখেরও বেশি বাসিন্দা তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।
মূলত ইসরায়েলি আক্রমণ গাজাকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছে। জাতিসংঘের মতে, ইসরায়েলের বর্বর আক্রমণের কারণে গাজার প্রায় ৮৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। আর খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের তীব্র সংকটের মধ্যে গাজার সকলেই এখন খাদ্য নিরাপত্তাহীন অবস্থার মধ্যে রয়েছেন।
এছাড়া অবরুদ্ধ এই ভূখণ্ডের ৬০ শতাংশ অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত বা ধ্বংস হয়ে গেছে। ইসরায়েল ইতোমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে গণহত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছে।
এমবি
আরও পড়ুন