গাজায় ইসরায়েলী হামলা একপেশে: জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান
প্রকাশিত : ২২:৩০, ১৮ মে ২০১৮
চলতি সপ্তাহজুড়ে উত্তপ্ত অবস্থা বিরাজ করছে গাজায়। ফিলিস্তিনিদের সাথে দফায় দফায় সংঘর্ষ হচ্ছে ইসরায়েলী বাহিনীর। গাজাবাসীর ওপর ইসরায়েলের হামলা ও আক্রমণকে ‘একপেশে’ বলে মন্তব্য করেছে জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান জাইদ রাদ আল হুসেন।
বিগত প্রায় সাত দিন ধরে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের সীমান্ত এলাকায় উত্তপ্ত অবস্থা বিরাজ করেছে। ইসরায়েলী পুলিশ ও সেনাবাহিনীর হামলায় ইতোমধ্যে মৃত্যু হয়েছে শতাধিক ফিলিস্তিনির। গত সপ্তাহের সোমবার এক দিনেই নিহত হয়েছিল ৬০ জন।
আজ শুক্রবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় এক বৈঠকে সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান বলেন যে, “গাজাবাসীরা একটি ‘বিষাক্ত বস্তিতে আবদ্ধ’ অবস্থায় আছে। গাজায় ইসরায়েলের এই আগ্রাসন বন্ধ করা উচিত”।
গাজা ইস্যুতে আহ্বান করা ওই জরুরী বৈঠকে জাইদ বলেন, “দুই পক্ষে হতাহতের অনুমান এই ধরণের যে, সেখানে কোন ভারসাম্য নেই। হতাহতের বড় অংশই গাজাবাসী”। একটি ঘটনার সূত্র টেনে তিনি বলেন যে, গত সোমবার গাজার যে স্থানটিতে ৪৩ ফিলিস্তিনি নাগরিক হত্যা করা হয় সেখানে একজন ইসরায়েলী শুধু আহত হয়েছেন। ফিলিস্তিনিদের ছোড়া একটি পাথরের টুকরায় ওই সেনা সামান্য আহত হয়।
ইসরায়েলী কর্তৃপক্ষ কোনভাবে পরিস্থিতি শান্ত করার প্রতি আগ্রহী নয় দাবি করে তিনি আরও বলেন, “ইসরায়েলীরা পরিকল্পিতভাবে এবং ইচ্ছাকৃতভাবে ফিলিস্তিনিদের হত্যা করছে। এটা চতুর্থ জেনেভা কনভেনশনের লঙ্ঘন”। একই বৈঠকে এই বিষয়ে ‘আন্তর্জাতিক, স্বাধীন ও নিরপেক্ষ’ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন জাইদ রাদ আল হুসেন। তিনি বলেন, “এই ঘটনায় যেই দায়ী হোক না কেন, শেষ পর্যন্ত তাকে জবাবদিহিতার আওতায় নিয়ে আসতে হবে”।
প্রসঙ্গত, ১৯৪৮ সালে ইসরায়েলীরা তৎকালীন ফিলিস্তিনের যে অংশগুলো দখল করেছিল সেগুলো ফিরে পেতে গত রোববার থেকে আন্দোলন শুরু করে ফিলিস্তিনিরা। ‘মার্চ অফ রিটার্ন’ বা পুরনো জমি ফিরে পাওয়ার দাবিতে গাজা অভিমুখে পদযাত্রার আয়োজন করেন তারা। তবে এই আন্দোলনের সাথে সন্ত্রাসী সশস্ত্র গোষ্ঠী যুক্ত আছে দাবি করে পদযাত্রায় গুলি বর্ষণ করে ইসরায়েলী সেনারা।
সূত্র: বিবিসি
এমজে/
আরও পড়ুন