গাজীপুরে কলেজছাত্র হত্যায় ৯ জনের ফাঁসি
প্রকাশিত : ১৬:০০, ২৫ অক্টোবর ২০১৭
গাজীপুরে কলেজছাত্র শাহাদৎ হোসেন সোহাগ হত্যা মামলায় ৯ জনকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ বিচারক ফজলে এলাহী ভূইয়া জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় দেন। এছাড়া রায়ে অন্য একটি ধারায় আসামিদের প্রত্যেককে ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড এবং ১ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং আরেকটি ধারায় ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও দুই হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
নিহত শাহাদৎ হোসেন সোহাগ (২২) গাজীপুরের ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- গাজীপুর মহানগরীর নিয়ামত সড়ক এলাকার শামসুল হকের ছেলে সেলিম ও একই এলাকার আব্দুস সোবাহানের ছেলে আসাদুল ইসলাম, উত্তর ছায়াবীথি এলাকার নাজমুল হকের ছেলে জহিরুল ইসলাম ওরফে জাকির হোসেন ওরফে জন্টু, বিলাশপুর এলাকার বাবুল মিয়ার ছেলে জুয়েল, শেরপুরের ঝিনাইগাতি থানার বাঘেরভিটা এলাকার বাক্কা মিয়ার ছেলে বাক্কা সুমন, দক্ষিণ ছায়াবীথী এলাকার মো: আ: মালেকের ছেলে তৌহিদুল ইসলাম ওরফে প্রিতম ওরফে প্রিতু ওরফে ইতু, রথখোলা এলাকার সিদ্দিকের ছেলে আরিফ, সামন্তপুর এলাকার লেহাজ উদ্দিনের ছেলে মো: হানিফ এবং উত্তরবিলাশপুর এলাকার মৃত আইয়ুর আলীর ছেলে রিপন আহমেদ জুয়েল।
এদের মধ্যে আসামি সেলিম, হানিফ, জুয়েল এবং আসাদুল ইসলাম পলাতক রয়েছে। রায় ঘোষণাকালে ৫ জন আসামি উপস্থিত ছিলেন।
গাজীপুর আদালতের অতিরিক্ত পিপি মো. আতাউর রহমান খান জানান, ২০১০ সালে ৮ জানুয়ারি বিকেলে একটি পারিবারিক ঘটনা মীমাংসার জন্য কলেজছাত্র সোহাগকে মুঠোফোনে রাজবাড়ী মাঠে ডেকে নিয়ে যায় আসামিরা। সেখানে কথাকাটাকাটির একপর্যায়ে সোহাগকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে পালিয়ে যায় তারা। পরে স্থানীয় লোকজন সোহাগকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় নিহতের বাবা সাদিকুজ্জামান মাইজভাণ্ডারী বাদী হয়ে একই দিনে ৯ জনের নাম উল্লেখ করে জয়দবেপুর থানায় হত্যা মামলা করেন। এ মামলার দীর্ঘ শুনানি ও সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে আজ দুপুরে আদালত দণ্ডাদেশ দেন।
এসএ / এআর
আরও পড়ুন