ঢাকা, রবিবার   ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

গুদামে ৩ লাখ টন চিনি সুরক্ষিত, অস্থিরতার আশঙ্কা নেই (ভিডিও)

হাসান ফেরদৌস, চট্টগ্রাম থেকে

প্রকাশিত : ১০:৩১, ৬ মার্চ ২০২৪

এস আলম রিফাইন্ড সুগার মিলে আগুনের ঘটনায় একটি গুদামের প্রায় ১ লাখ টন চিনি পুড়ে গেছে।  বাকি তিন গুদামে সুরক্ষিত আছে ৩ লাখ টন অপরিশোধিত চিনি। এছাড়া বিপুল পরিমাণ চিনি রয়েছে সরবরাহ লাইনে। তাই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় চিনির বাজারে অস্থিরতা তৈরির কোনো আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন এস আলম গ্রুপের কর্মকর্তারা। জানান, ২-৩ দিনের মধ্যেই চিনির উৎপাদন পুরোদমে শুরু হবে। 

কর্ণফুলী নদীর দক্ষিণ পারে এস আলম রিফাইন্ড সুগার মিলের ৪টি গুদামের একটিতে ভয়াবহ আগুন। এতে পুড়ে গেছে প্রায় ১ লাখ টন অপরিশোধিত চিনি। কাঠামোগত ক্ষতি হয়েছে গুদামটির। বাকি তিন গুদামের থাকা ৩ লাখ টন চিনি সুরক্ষিত রয়েছে বলে জানিয়েছে এস আলম গ্রুপের কর্মকর্তারা।  

এস আলম গ্রুপের ডেপুটি ম্যানেজার আশিস কুমার নাথ বলেন, “দুটি গোডাউনে ৪ লাখ মেট্রিক টন সুগার ছিল, তার মধ্যে যেটিতে আগুন লাগে সেখানে দেড় লাখ টন চিনি ছিল। আমাদের প্রতি ইউনিটে প্রোডাকশন হচ্ছে ১৪শ’ মেট্রিক টন করে। আশা করি, খুব শীঘ্রই উৎপাদন শুরু হবে।”

ম্যানেজার (এইচআর) মোহাম্মদ হোসেন বলেন, “৪ লাখ টন মেট্রিক টন আমদানি করা হয়েছে কিন্তু এক রমজানে সারাদেশে ১ লাখ টনের বেশি প্রয়োজন হয়না। যে পরিমাণ ফিনিসড গুডস রেডি আছে তা দিয়ে ১৫ দিন সরবরাহ করা যাবে মিল না চালাইলেও। তিনটি গোডাউন সম্পূর্ণ অক্ষত আছে, সুতরাং সরবরাহে কোনো ঘাটতি হবেনা।”

কর্মকর্তারা আরও জানান, ২-৩ দিনের মধ্যেই মিলের উৎপাদন পুনরায় শুরু হবে। এছাড়া পাইপলাইনে রয়েছে ৬-৭ লাখ টন চিনি। অগ্নিকাণ্ডের কারণে বাজারে চিনি সরবরাহে বিঘ্ন ঘটবে না। 

এস আলম গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজার আকতার হোসেন বলেন, “শুধু রমজানেই নয়, রমজান পরবর্তী সময়ের জন্য আমাদের ৬ থেকে ৭ লাখ টন মাল পাইপলাইনে ও স্টোরে আছে। একটি ওয়্যারহাউজে আগুন লাগেছে কিন্তু ৪-৫টি গোডাউনে পর্যাপ্ত পরিমাণে মাল রয়েছে।”

এদিকে, চিনির গুদামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কেউ যাতে বাজারে নেতিবাচক প্রচারণা চালিয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি না করতে পারে সেজন্য মনিটরিং করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।

চট্টগ্রাম অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মামুনুর রহমান বলেন, “কোম্পানি আমাদের নিশ্চিত করেছে, এই অগ্নিকাণ্ডের কারণে বাজারে চিনির কোনো প্রভাব পড়বেনা। আমাদের তদারকি চলছে, ম্যাজিস্ট্রেটরা মাঠে রয়েছেন।”

মিলের গুদামে থাকা এই চিনি দিয়ে আরও ১০-১৫ দিন চলবে। তাই চিনির কোনো সংকটের আশঙ্কা নেই বলছে এস আলম গ্রুপ।

এএইচ


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি