গুমোট হচ্ছে বাগেরহাটের আবহাওয়া, আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান
প্রকাশিত : ১০:৫৫, ২৬ মে ২০২৪
সমুদ্রে চোখ রাঙাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’। ইতিমধ্যে গুমোট হতে শুরু করেছে বাগেরহাটের আবহাওয়া। দুপুরের মধ্যে আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
রোববার সকাল থেকেই ক্ষণে ক্ষণে কালো মেঘে ঢেকে যাচ্ছে আকাশ।
ঘূর্ণিঝড় রেমালকে কেন্দ্র করে গতকাল সন্ধ্যা থেকে স্থানীয়দের সতর্ক করতে প্রচারণা শুরু করেছে কোস্টগার্ড, রেড ক্রিসেন্টসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবকরা। ঝুঁকিপূর্ণ স্থান থেকে সাইক্লোন সেন্টারে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে সাধারণ মানুষদের।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাঃ খালিদ হোসেন বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমাল মোকাবেলায় জেলায় মোট ৩৫৯টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টি রোববার সন্ধ্যা নাগাদ বাগেরহাট উপকূলে আঘাত হানতে পারে। দুপুরের ভেতর সবাই যেন আশ্রয় কেন্দ্রে যায় সেজন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। এছাড়া নগদ অর্থ শুকনো খাবার ও ওষুধ প্রস্তুত রাখা হয়েছে। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিজ নিজ কর্মস্থলে থাকার জন্য বলা হয়েছে।
বাগেরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান মোহাম্মদ আল-বিরুনী বলেন, জেলায় ৩৩৮ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ রয়েছে। এর মধ্যে ৩৫/১ পোল্ডারের ৬৩ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের দুই কিলোমিটার ঝুঁকিতে রয়েছে। এ ছাড়া অন্য পোল্ডারগুলোর বেশ কিছু পয়েন্ট ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে কোথাও যাতে বাঁধ ভেঙে যেতে না পারে, সেজন্য প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
মোংলা বন্দরের সহকারি গণসংযোগ কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম (মনির) বলেন, মহাবিপদ সংকেত পাওয়া মাত্র মোংলা বন্দরের সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে। বর্তমানে বন্দরের মোট ০৬টি জাহাজ নিরাপদ স্থানে নোঙ্গর করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত জাহাজ আগমন-বহির্গমন, জাহাজের পণ্য ওঠানামা, পরিবহন ও নৌযান (কার্গো, কোস্টার, বার্জ) চলাচলের কাজ বন্ধ থাকবে।
বন্দরের হারবার বিভাগে খোলা কন্ট্রোল রুম থেকে দুর্যোগ মোকাবেলা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। এছাড়া বন্দরের নিজস্ব নৌযানগুলোকেও নিরাপদে থাকতে বলা হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে বন্দরের নিজস্ব উদ্ধারকারী নৌযানও।
এএইচ
আরও পড়ুন