গুরুত্ব পাচ্ছেনা ধর্মীয় পর্যটনের সম্ভাবনা
প্রকাশিত : ১৩:৪০, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
দেশের পর্যটন খাতে দেখা দিয়েছে নতুন সম্ভাবনা। পর্যটনের মহাপরিকল্পনা অনুযায়ী, দক্ষিণ এশিয়ার সেরা আইল্যান্ড দৃশ্যমান হতে যাচ্ছে বাংলাদেশেই। কক্সবাজারের টেকনাফ ও মহেশখালী ইউনিয়নে নির্মিত হচ্ছে তিনটি ট্যুরিজম পার্ক। এ ছাড়া কক্সবাজারেই সাগর ছুঁয়ে নির্মাণ হচ্ছে দেশের দীর্ঘতম রানওয়ে সংবলিত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এদিকে উদ্বোধন হতে যাচ্ছে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল ও চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথ। সব মিলে আগামী দেড় থেকে দুই বছরের মধ্যে শুধু কক্সবাজারেই লাখ লাখ দেশি-বিদেশি পর্যটক ছুটবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে ধর্মীয় পর্যটনের সম্ভাবনা সেভাবে গুরুত্ব পাচ্ছেনা।
বাংলাদেশের প্রধান চারটি ধর্ম হল ইসলাম, হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান। প্রতিটিরই স্বতন্ত্র উপাসনালয়, নৈতিক মূল্যবোধ ও উৎসব রেয়েছে।
রাজধানী ঢাকা মসজিদের শহর নামে পরিচিত। সোমপুর মহাবিহার প্রচীনতম বৌদ্ধ প্রতিষ্ঠান, ঢাকেশ্বরী মন্দির হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের জন্য পবিত্র স্থান। এছাড়াও সারা দেশেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে অসংখ্য মসজিদ মন্দির, প্যাগোডা, বৌদ্ধ বিহার। কিন্তু সে তুলনায় পর্যটক আনাগোনা কম।
ধর্মীয় এই স্থাপনা ও প্রতিষ্ঠান গুলোকে পর্যটনেরে আওতায় আনা গেলে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন হবে।
এজন্য এই স্থান গুলোকে চিহ্নিত করতে হবে। এরপর এগুলোকে পর্যটন উপযোগী করে তুলতে হবে। যেমন এসব এলাকায় পর্যটকদের থাকার সুব্যবস্থা, টয়লেট, বসার জায়গার ব্যবস্থা, সুভেনির শপ, দিক নির্দেশনামূলক সাইনবোর্ড, শুদ্ধ পানির ব্যবস্থা করতে হবে।
এসব স্থানে প্রয়োজনীয় লোকবল নিয়োগ করতে হবে। শুধু তাই নয় ধর্মীয় পর্যটনকেন্দ্রগুলোর ব্র্যান্ডিং করতে হবে।
বাংলাদেশ টুরিজম বোর্ডের ধর্মীয় পর্যটনের গাইডলাইন ২০২১ কর্মপরিকল্পনায় এইসব প্রস্তাবনার কথাই উল্লেখ আছে। তবে বাস্তবায়ন হয়নি এর একাংশও।
এসবি/
আরও পড়ুন