ঢাকা, শনিবার   ২৩ নভেম্বর ২০২৪

গোটা দ্বীপে একাই থাকেন ৮১ বছরের এই নারী

প্রকাশিত : ১১:১৪, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

কম বেশি সবাই প্রকৃতির মাঝে থাকতে চায়। কিন্তু চারপাশে সুবিশাল জলরাশি, আর কেউ নেই, কিন্তু কতদিন এমন একটা জায়গায় থাকতে পারবেন আপনি?

৮১ বছরের কিম সিন ইওল কিন্তু পেরেছেন। ২০১৮ সালে স্বামী মারা যাওয়ার পর একাই এই দ্বীপের বাসিন্দা কিম। দক্ষিণ কোরিয়ার এই দ্বীপের আশপাশের জলসীমার অধিকার কিন্তু জাপানের।

 ১৯৯১ সাল থেকে স্বামীর সঙ্গে ২৭ বছর একটি দ্বীপে বাস করতেন তিনি। কিম কিন্তু একজন ফ্রি-ডাইভারও। ২০১৭ পর্যন্ত সমুদ্রের তলদেশে ডুব দিয়েছেন তিনি। অসুস্থতার কারণে বছর দু’য়েক আর এই কাজ করেন না।

জাপান এই দ্বীপটিকে তাকেশিমা বললেও কোরীয়রা বলেন ডোকডো দ্বীপ। লিয়ানকোর্টস রক নামেও দ্বীপটি পরিচিত বহির্বিশ্বের কাছে।

পুলিশ, নাবিক, পর্যটক, লাইটহাউস অপারেটর— অনেকেই এই দ্বীপে বেড়াতে আসেন। বেশির ভাগ সময়ই ঝড়বৃষ্টির আশপাশের জগত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে দ্বীপটি। ৭০-এর দশক নাগাদ ডাইভারদের বেশ কিছু পরিবার এই দ্বীপে থাকতেন। কিন্তু আবহাওয়ার কারণেই আস্তে আস্তে ফাঁকা হতে শুরু করে দ্বীপটি।

কিমের নাতি বলেন, তার ঠাকুরমার কাছে এটি শান্তির জায়গা। তাই এখানে থাকতেই ভালবাসেন তিনি। কিমের সময় কী ভাবে কাটে? মাছ ধরেই বেশির ভাগ সময় কেটে যায়, এমনটাই বলেছেন কিম।

একা ভাল তো আছেনই, উল্টে নিজের ছেলে ও পুত্রবধূকেও দ্বীপের বাসিন্দা করতে চান কিম। পর্যটকদের কাছে ডাকটিকিট, সাবান ও সি ফুড বিক্রি করেই দিব্যি চলে যাবে, এমনটাই মত তার।

সিওল থেকে ৪৩৩ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত এই দ্বীপ। প্রায় ২৩০০ মিটার উচু একটা আগ্নেয়গিরি রয়েছে এই দ্বীপের কাছে সমুদ্রের নীচে।

দক্ষিণ কোরিয়ার দখলে থাকলেও জাপানের সঙ্গে এই দ্বীপের মালিকানা নিয়ে বিবাদ রয়েছে গত ৩০০ বছর ধরে। দ্বীপে দক্ষিণ কোরিয়া একটি লাইটহাউসও বানিয়েছে।

তথ্যসূত্র: আনন্দবাজার

এমএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি