গ্লুকোমিটারে ডায়াবেটিস মাপছেন,নিয়ম সঠিক আছে তো?
প্রকাশিত : ১৬:৫৮, ২৬ জুন ২০২৪
একজন ডায়াবেটিক ব্যক্তির বিপদের সবচেয়ে বড় বন্ধু হল গ্লুকোমিটার | আসুন জেনে নিই গ্লুকোমিটারের মাধ্যমে কিভাবে সঠিক পদ্ধতিতে ব্লাড সুগার মাপা যায় -
প্রথমেই দেখে নেই গ্লুকোমিটারের কি কি অংশ থাকে - ১) গ্লুকোমিটার
২) পেনলেট - এটি দিয়ে আঙ্গুল ফুটো করা হয় , ফুটো করার উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত সুঁই কে বলা হয় ল্যান্সেট
৩) স্ট্রিপ - মেশিন অনুযায়ী ভিন্ন হয়ে থাকে
মাপার পদ্ধতি
১) প্রথমেই মেশিনে ব্যাটারি ঢুকিয়ে নিন , স্ট্রিপ প্রবেশ করান এবং পেনলেটে ল্যানসেট ঢুকিয়ে তৈরি করুন
২) আপনার যে কোন হাতের মধ্যমা ,তর্জনী বা অনামিকার ( বৃদ্ধাঙ্গুল এবং কনিষ্ঠ আঙ্গুল ব্লাড সুগার মাপার জন্য উপযুক্ত নয় ) অগ্রভাগের ডান বা বাম অংশ (মাঝখানের অংশ নয় - এতে নার্ভের পরিমাণ বেশি থাকে বলে আপনার ব্যথা লাগবে ) ভালো করে স্পিরিট দিয়ে মুছে নিন | স্পিরিট শুকিয়ে যাওয়ার জন্য কয়েক সেকেন্ড অপেক্ষা করুন | ভেজা অবস্থায় ব্লাড সুগার মাপলে সঠিক ফলাফল পাওয়া যাবে না |
৩) আঙ্গুল শুকিয়ে গেলে পেনলেট এর মাধ্যমে ফুটো করুন| চাপ দিয়ে এক ফোঁটা রক্ত বের করুন | প্রথম ফোটা রক্তটি টেস্ট এর জন্য উপযুক্ত নয় , এটিকে অপসারণ করুন| 4) দ্বিতীয় ফোটা রক্ত স্ট্রিপে ঝুলন্ত অবস্থায় ফেলুন , এ সময় লক্ষ্য রাখুন আঙ্গুল যেন স্ট্রিপের সংস্পর্শে না আসে | কিছুক্ষণ পর মেশিনে আপনার ব্লাড সুগারের পরিমাণ দেখা যাবে |
আপনি যদি ইনসুলিন ব্যবহার করেন তাহলে সপ্তাহে অন্ততপক্ষে একবার চারবেলা ডায়াবেটিস মাপবেন | সকালে খালি পেটে , নাস্তার দু ঘন্টা পর ( শুরু থেকে দু'ঘণ্টা, শেষ থেকে নয় ) দুপুর এবং রাতের খাবারের দু'ঘণ্টা পর | যদি আপনি মুখে খাওয়ার ওষুধ গ্রহণ করে থাকেন তবে সকালে খালি পেটে এবং দুপুরের খাবারের (অথবা যে বেলা আপনি সবচেয়ে বেশি পরিমাণ খাবার খান ) দু'ঘণ্টা পর ব্লাড সুগার মাপুন |
লেখক- ডা অঞ্জনা সাহা হরমোন ও ডায়াবেটিস রোগ বিশেষজ্ঞ জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল মহাখালী এবং কনসালট্যান্ট, ইউনিভার্সাল মেডিক্যাল কলেজ হসপিটাল, ঢাকা।
কেআই//