ঘর ভেঙেছে শবনম ফারিয়ার
প্রকাশিত : ০৯:২৪, ২৯ নভেম্বর ২০২০
আবারও শোবিজ অঙ্গনে ভাঙনের খবর! বিয়ের ১ বছর ৯ মাসের মাথায় এবার সংসার জীবনের ইতি টেনেছে ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। স্বামী হারুন অর রশীদ অপুকে ডিভোর্স দিয়েছেন তিনি। শনিবার (২৮ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এক স্ট্যাটাসে এ তথ্য নিশ্চিত করেন ফারিয়া।
যেখানে তিনি বলেন, ‘গত শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) উভয়ের সম্মতিতে আমাদের বিচ্ছেদ হয়েছে। তবে ডিভোর্সের উল্লেখযোগ্য কোন কারণ নেই। ’
নিজেদের সুখের জন্য নাকি আলাদা হয়েছেন তারা। তাই অহেতুক বিভ্রান্তি না ছড়ানোরও অনুরোধ জানান এই অভিনেত্রী।
তবে গণমাধ্যমের কাছে বিচ্ছেদের কারণ না জানালেও তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে অনেক কথাই তুলে ধরেছেন ফারিয়া। যেখানে তিনি বলেন, ‘মানুষের জীবন নদীর মতো। কখনও জোয়ার, কখনও ভাটা। কখনও বৃষ্টিতে পানি বেড়ে যায়, শীতকালে পানি শুকিয়ে যায়। আমাদের জীবনেও এমনটা হয়! আমাদের জীবনে কিছু মানুষ আসে; কেউ কেউ স্থায়ী হয়, কেউ কেউ কিছু কারণে স্থায়িত্ব ধরে রাখতে পারে না! ’
ফারিয়া বলেন, ‘আমার মা সব সময় একটা কথা বলে, “আল্লাহর হুকুম ছাড়া একটা গাছের পাতাও নড়ে না, আমরা শুধু চেষ্টা করতে পারি!“ ঠিক সেভাবেই আমি আর অপু অনেকদিন ধরেই চেষ্টা করেছি একসাথে থাকতে! কিন্তু বিষয়টা একটা পর্যায়ে খুব কঠিন হয়ে যায়! “মানুষ কি বলবে” ভেবে নিজেদের উপর একটু বেশিই টর্চার করে ফেলছিলাম আমরা! জীবনটা অনেক ছোট, এতো কষ্ট নিয়ে বেঁচে থাকার কি দরকার? এইটা ভেবে আমরা এ বছরের শুরু থেকেই সিদ্ধান্তে আসি আমরা আর একসাথে থেকে কষ্টে থাকতে চাই না!’
তাও বছর খানেক সময় নিয়েছি পরষ্পরকে বুঝতে! ফাইনালি “আল্লাহ্ যা করেন ভালোর জন্যেই করেন” ভেবে আমরা আমাদের প্রায় আড়াই বছরের বৈবাহিক জীবনের অবসান ঘটিয়ে আবারও ৫ বছরের পুরানো বন্ধুত্বে ফিরে গিয়েছি।
বিবাহে বিচ্ছেদ হয়, কিন্তু ভালবাসার বিচ্ছেদ নেই! বন্ধুত্বের বিচ্ছেদ নেই! যতদিন বেঁচে আছি আমাদের ভালবাসা ও বন্ধুত্ব থাকবে! শুধুমাত্র বৈবাহিক বন্ধন থেকে আমাদের সম্পর্কের ইতি টেনে নিলাম! এ ঘটনা আমাদের জীবনের গতি হয়তো রোধ করবে, ছন্দপতন করবে কিন্তু জীবন তো থেমে থাকবে না!
সাবেক স্বামী অপুকে নিয়ে বলেন, ‘অপুর জন্যে আমার অনেক অনেক দোয়া, ভালবাসা আর শুভ কামনা। আমরা যে সুখের জন্যে আলাদা হলাম আমরা যেন সে সুখ খুঁজে পাই। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন। দয়া করে “মিডিয়ার বিয়ে টেকে না” ধরণের কথা বলে আমাদের জন্যে আমাদের সহকর্মীদের ছোট করবেন না! আমরা সম্পূর্ণ “পারিবারিক কারণে” , পারিবারিক ভাবে, পারিবারিক সম্মতিতেই বিয়ের মতো ইনষ্টিটিউশন থেকে বের হয়ে এসেছি! আমাদের কখনও ভালবাসা কিংবা বিশ্বাসের অভাব ছিল না, হবেও না!
বিভ্রান্তি না ছড়াতে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে অনুরোধ জানিয়ে শবনম বলেন, ‘আমার প্রিয় সাংবাদিক ভাই/বোনদের উদ্দেশ্যে একটাই অনুরোধ, দয়া করে একটু মানবিকতার সাথে বিষয়টা দেখবেন! প্লিজ! দুজন মানুষের বিবাহ্ বিচ্ছেদ মানে, দুইটা পরিবারের বিচ্ছেদ, অনেক স্মৃতির বিচ্ছেদ! অনেক ভালো সময়ের সাথে বিচ্ছেদ এইটা কারও জন্য সুখকর অনুভূতি না! দয়া করে মুখরোচক অদ্ভুত সংবাদ প্রকাশ করে আমাদের আর বিব্রত করবেন না! আমরা একে অন্যের উপর সম্পূর্ণ সন্মান বজায় রাখতে চাই!’
প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালে ফেসবুকে হারুন অর রশীদ অপুর সঙ্গে পরিচয় ঘটে, তারপর প্রেম। তিন বছর পর ২০১৮ সালের আংকটি বদল করেন। পরের বছর ২০১৯ সালের ১ ফেব্রুয়ারি বেশ জমকালো আয়োজনে সংসার জীবনে পা রাখের ফারিয়া-অপু। কিন্তু প্রেমের সম্পর্ক তিন বছর টিকলেও ২ বছরও টিকল না ভাঙল সাংসারিক জীবন।
এআই//