ঘুড়ি র্যালী জানান দিল সাকরাইন উৎসব কাল
প্রকাশিত : ১৪:৫০, ১৩ জানুয়ারি ২০২৪
আগামীকাল ১৪ জানুয়ারি শুরু হচ্ছে ঢাকার ঐতিহ্যবাহী সাকরাইন উৎসব। বাংলা পৌষ মাসের শেষ ও মাঘ মাসের শুরুতে ঐতিহ্যবাহী এ ঘুড়ি উৎসবের আয়োজন করে থাকে পুরান ঢাকাবাসী।
তিনদিনব্যাপী এ উৎসব উপলক্ষে আজ রাজধানীর হাজারীবাগ পার্কে ঘুড়ি ফেডারেশন ও ঢাকাবাসির যৌথ উদ্যোগে ঘুড়ি র্যালীর আয়োজন করা হয়। উদ্বোধন করেন সাবেক রাষ্ট্রদূত ও সচিব ইনাম আহমেদ চৌধুরী।
পরে র্যালীটি হাজারীবাগ পার্ক থেকে শুরু হয়ে পুরাতন ঢাকার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
এছাড়া ১৪ জানুয়ারি বিকালে রাজধানীর বকশি বাজারে ঢাকা টাওয়ার, উর্দু রোডসহ ঢাকার বিভিন্ন বাড়ির চাঁদে ঘুড়ি উৎসবের আয়োজন করা হবে। ঘড়ি উসবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশে অবস্থিত ব্রুনাই দারুস সালামের হাইকমিশনার হাজী হারিস বিন ওথমান, ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ গণমান্য ব্যক্তিরা।
প্রায় ২০০ বছরের ইতিহাস ও ঐতিহ্য নিয়ে বয়ে চলছে ঢাকা। সাকরাইন বা ঘুড়ি উৎসব তেমনই একটি পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী উৎসব। এ উৎসব যুগ যুগ ধরে বহন করে চলছে ঢাকাবাসী। মূলত পৌষ সংক্রান্তি বা পৌষের শীতের আমেজকে বাড়তি মাত্রা দিতে ঘুড়ি উড়ানোকে কেন্দ্র করে সাকরাইন উৎসব পালিত হয়।
বাংলা পৌষ মাসের শেষ ও মাঘ মাসের শুরুতে ঐতিহ্যবাহী এ ঘুড়ি উৎসবের আয়োজন করে পুরান ঢাকাবাসী। দিনভর ঘুড়ি উড়িয়ে সন্ধ্যায় বর্ণিল আতশবাজি আর রঙ-বেরঙের ফানুস উড়িয়ে সাকরাইন উৎসবকে আনন্দঘন করে তোলা হয়।
কিশোর-কিশোরী, যুবক-যুবতী এমনকি বয়োবৃদ্ধরাও এ উৎসবে শামিল হন। দিনভর ঘুড়ি উড়িয়ে সন্ধ্যায় বিভিন্ন আয়োজনে সবাই আনন্দে মেতে ওঠেন।
সাকরাইনের ঘুড়ি তৈরিতে রয়েছে শৈল্পিক নিদর্শন। সঠিক মাপে ঘুড়ি তৈরি করতে না পারলে ঘুড়ি আকাশের নীল রঙ ধরতে পারবে না। এজন্য বাহারি রঙের ঘুড়ি তৈরি করা হয় সাকরাইন উৎসবে। সেগুলোর মধ্যে গোয়াদার, চোকদার, মাসদার, গরুদান, লেজলম্বা, চারভুয়াদার, পানদার, লেনঠনদার, গায়েল ঘুড়িগুলো অন্যতম।
এএইচ
আরও পড়ুন