ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪

চট্টগ্রামের একমাত্র চিডিয়াখানাটি নজড় কারতে পারেনি দর্শনার্থীদের

প্রকাশিত : ১৩:৩২, ৩০ মে ২০১৬ | আপডেট: ১৩:৩২, ৩০ মে ২০১৬

প্রতিষ্ঠার আড়াই যুগেও দর্শনার্থীদের নজড় কারতে পারেনি চট্টগ্রামের একমাত্র চিডিয়াখানাটি। তিন বছর ধরে খালি পড়ে আছে রয়েল বেঙ্গল টাইগারের খাঁচা। নেই বনের রাজা সিংহ, জিরাপ কিংবা জলহস্তী। ফলে চিড়িয়াখানায় এসে প্রতিনিয়ত হতাশ হতে হচ্ছে দর্শনার্থীদের। চিড়িয়াখানার আকর্ষণ বাড়াতে পশু পাখী সংগ্রহে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক। নগরবাসীর চিত্ত বিনোদনের কথা বিবেচনায় নিয়ে চট্টগ্রামের ১১ জন ধনাঢ্য ব্যাক্তির সহযোগিতায়  ১৯৮৯ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারী যাত্রা শুরু হয়েছিল চট্টগ্রামের এই চিড়িয়াখানাটির। জেলা প্রশাসনের তত্বাবধানে পাহাড়তলীর ফয়’স লেক সংলগ্ন চার একর জমির  উপর গড়ে উঠা এই চিড়িয়াখানার  আছে বানর, ভাল্লুক, হরিণ, চিতা বিড়াল, ঘোড়া, কুমির, ময়ুরসহ ৬৭ প্রজাতির ২৮০টি পশু-পাখি। ’চন্দ্র’ এবং পূর্ণিমা মারা যাওয়ার পর তিন বছর ধরে খালি পড়ে আছে অন্যতম আকর্ষন রয়েল বেঙ্গল টাইগারের খাঁচাটি। ২০০৫ সালে বর্ষা ও নোভা নামের দুই সিংহী জন্ম নিলেও নেই তাদের কোন সঙ্গী। চিড়িয়াখানায় এসে পছন্দের পশু পাখি দেখতে না পেয়ে হতাশা ব্যক্ত করেন দর্শনার্থীরা। ভবিষ্যত প্রজম্মের কথা বিবেচনায় নিয়ে বিলুপ্ত প্রজাতির পশু পাখি বাড়ানো দাবী জানান তারা। সরকারি সহযোগিতা ছাড়াই শুধুমাত্র দর্শনার্থীদের টিকেটের টাকা দিয়ে গত বছর ৫৮ লাখ টাকা লাভ হয়েছে বলে  জানান কর্মকর্তারা। এদিকে চিড়িৎখানায় রয়েল বেঙ্গল টাইগারসহ বিভিন্ন প্রজাতির পশু-পাখি বাড়াতে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানান জেলা প্রশাসক। নগরবাসীর চিত্ত বিনোদনে চিড়িয়াখানায় পশু-পাখি বৃদ্ধিতে প্রশাসন প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেবে, এমনটাই প্রত্যাশা দর্শনার্থীসহ সংশ্লিষ্ট সবার।
Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি