চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা নিরসনে সহসাই মিলছে না সুফল (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১২:৪০, ৬ এপ্রিল ২০২৩
চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রায় সাড়ে ৯হাজার ৫২৭ কোটি টাকার প্রকল্প চলমান থাকলেও সহসাই পাওয়া যাবে না সুফল। সম্ভ্যবতা যাচাই ছাড়া প্রকল্প গ্রহণ, সমন্বয়হীনতা এবং বৃহৎ প্রকল্প বাস্তবায়নের অভিজ্ঞতা না থাকার কারণে এমনটাই ঘটছে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।
চট্টগ্রামকে একটি আধুনিক ও নান্দনিক শহর হিসাবে গড়ে তুলতে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-সিডিএ’র জলাবদ্ধতা প্রকল্পটি নেয়া হয় ২০১৭ সালে। বরাদ্দ দেয়া হয় সাড়ে ৫ হাজার কোটি টাকা। প্রকল্পটি ২০২০ সালে শেষ করার কথা থাকলেও দফায় দফায় সময় বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয় ২০২৩ সালের জুলাই পর্যন্ত। এরমধ্যে প্রকল্প ব্যয় বাড়িয়ে করা হয় সাড়ে নয় হাজার কোটি টাকা।
প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে ঠিকভাবে সম্ভাব্যতা যাচাই, নকশা প্রণয়ন এবং বিশেষজ্ঞদের মতামত না নেয়ার কারণে প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত প্রকল্প বাস্তবায়নে নানা সমস্যার তৈরি হচ্ছে।
চট্টগ্রাম চেম্বার পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ বলেন, “চট্টগ্রাম শহরকে জলাবদ্ধতা মুক্ত রাখার বিষয়ে অনেক প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।”
ব্যবসায়ী নিয়াজ মোরশেদ এলিট বলেন, “সিডিএ এবং সিটি কর্পোরেশনের সমন্বয় যতদিন নিশ্চিত করতে পারবো না, ১০ হাজার নয় ২০ হাজার কোটি টাকার প্রকল্প নিলেও আমরা আসল ফলটা পাবো না।”
সিডিএ’র নেয়া ১৫ বছর মেয়াদী মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়ন না করা এবং অপরিকল্পিতভাবে নগরায়নের কারণে চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে বলে মনে করেন নগর পরিকল্পনাবিদরা।
চট্টগ্রাম নাগরিক আন্দোলনের নেতা প্রকৌশলী দেলোয়ার মজুমদার বলেন, “আগের মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করলাম না, নতুনভাবেও পরিকল্পনা নিলাম না, আমার কোনো কন্ট্রোলিং নাই সিটি বিকাশের মধ্যে এবং স্বতস্ফূর্তভাবে যে বিকাশটি ঘটছে এটি তো শহরকে বিন্যাস করতে দেবে না।”
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের বোর্ড সদস্য আশিক ইমরান বলেন, “এই শহরকে বাঁচাতে হলে সবার আগে সিডিএ’কে ঢেলে সাজাতে হবে। দক্ষ জনবল, বিশেষায়িত জনবল নিয়োগ দিতে হবে এবং সিডিএ’র আইন প্রয়োগের সক্ষমতা বাড়াতে হবে।”
এদিকে সেবা সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় না থাকায় চট্টগ্রাম উন্নয়নে নেওয়া বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করার ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে বলে জানান চট্টগ্রামের মেয়র।
চট্টগ্রাম সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, “আমি মনে করি, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়রকে চট্টগ্রামের সকল সেবা সংস্থার উপর একটা কর্তৃত্ব অর্থাৎ এদেরকে এক জায়গায় আনার অভিভাবকত্ব দিতে হবে।”
এএইচ
আরও পড়ুন