চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে দাদাভাইয়ের স্মরণসভা অনুষ্ঠিত
প্রকাশিত : ১৬:২০, ৩১ জুলাই ২০২৩ | আপডেট: ১৬:২২, ৩১ জুলাই ২০২৩
দলীয় নীতি-আদর্শ ও নেতার নেতৃত্বের প্রতি কতটা আবেগ-অনুভূতি ও অনুরাগ মিশে থাকলে পরিণত-বয়সেও টানা ৪/৫ ঘণ্টা এক জায়গায় বসে বক্তাদের মুখে নেতার গুণকীর্তন শোনে অতীত রাজনৈতিক জীবনের স্মৃতি রোমন্থন করতে পারেন-তার স্বাক্ষী চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হল।
গতকাল (২৯ জুলাই) বিকেলে বঙ্গবন্ধু হলে এক সময়ের সমাজ বদলের স্বপ্নে বিভোর রাজপথ কাঁপানো ছাত্রনেতারা জড়ো হয়েছিলেন নেতার স্মরণ সভায়। যে নেতার স্মরণে এ আয়োজন তিনি হলেন রাজনীতির প্রবাদপুরুষ, স্বাধীকার ও স্বাধীনতা আন্দোলনের ভ্যানগার্ড সংগঠক, নিউক্লিয়াসের প্রতিষ্ঠাতা, স্বাধীন বাংলাদেশের উপযোগী রাষ্ট্রীয় কাঠামো গঠনের একমাত্র প্রস্তাবক সিরাজুল আলম খান ওরফে দাদাভাই।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্মরণসভা কমিটির আহবায়ক বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধ গবেষণাকেন্দ্র ট্রাস্ট, চট্টগ্রাম এর চেয়ারম্যান ডা. মাহফুজুর রহমান।
অ্যাডভোকেট আবু মোহাম্মদ হাশেমের সভাপতিত্বে ও সোলায়মান খানের সঞ্চালনায় স্মরণসভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ইন্দ নন্দন দত্ত, ফাহিম উদ্দিন আহমেদ, রাখাল চন্দ্র বণিক, শাহজাহান খান, নুরুল আলম মন্টু, রাজেন্দ্র প্রসাদ চৌধুরী, আবদুল মান্নান মাস্টার, জাহাঙ্গীর হোসেন চৌধুরী, নুরুল হুদা মাস্টার, মাজহারুল হক শাহ চৌধুরী, তৈয়বুর রহমান, নাসিরুল হক নওয়াব, ডা. কাজী আইনুল হক, ডা. আবদুল্লাহ আল হারুণ, ড. আবদুল বাতেন, রাজা মিয়া, এস এম আক্তারুল আলম, স ম নজরুল ইসলাম, নুরুল আরশাদ চৌধুরী, জসিম উদ্দিন বাবুল, মুজতবা কামাল,অভিক ওসমান, ইসহাক উদ্দিন চৌধুরী, শফিউদ্দিন আবিদ, আবুল কালাম, মশিউর রহমান খান আবু জাফর মাহমুদ চেয়ারম্যান, শিবু প্রসাদ দাশ, দেওয়ান মাসুদ আহমেদ, শেখ গোলাম মোহাম্মদ রাজু, আবদুল বাতেন বিপ্লব প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও নীতি-আদর্শের আলোকে সংবিধান প্রণীত না হওয়া, স্বাধীন-বাংলাদেশের উপযোগী রাষ্ট্রীয় কাঠামো গঠন না করা ও সকল শ্রেণি-পেশার নেতাদের নিয়ে সরকার গঠনের প্রক্রিয়া শুরু না হওয়ায় স্বাধীনতার ৫০ বছর পরও জনগণ পায়নি তাদের কাঙ্ক্ষিত স্বদেশ; স্থাপিত হয়নি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ।
অংশগ্রহণমূলক গণতন্ত্রের ওপর গুরুত্বারোপ করে বক্তারা আরও বলেন, সিরাজুল আলম খান যে বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন, তা বাস্তবায়ন করতে হলে তাঁর আদর্শের অনুসারীদের একই প্ল্যাটফরমে আসার কোনো বিকল্প নেই। কেননা, শোষণমুক্ত সমাজ ও রাষ্ট্র বিনির্মাণ করতে হলে সিরাজুল আলম খানের নীতি-আদর্শের পথেই হাঁটতে হবে।
কেআই//
আরও পড়ুন