চট্টগ্রাম-বান্দরবান-রাঙ্গামাটিতে পাহাড় ধ্বসে নিহত ৬২
প্রকাশিত : ১৪:১৮, ১৩ জুন ২০১৭ | আপডেট: ১৯:৪৭, ১৩ জুন ২০১৭
টানা বর্ষণে পাহাড় ধসে চট্টগ্রাম, বান্দরবান ও রাঙ্গামাটিতে সেনাবহিনীর ২ কর্মকর্তা ও ২ সদস্যসহ অন্তত ৫৫ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে রাঙামাটিতে ৩৫ জন, বান্দরবানে ৭ জন ও চট্টগ্রামে ১৩ জন মারা গেছেন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশংকা করা হচ্ছে। হতাহতের ঘটনায় শোক ছড়িয়ে পড়েছে পুরো পাহাড় জুড়ে। শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা ও বিএনপি চেয়ারপরসন।
মঙ্গলবার ভোর রাত। দুদিনের টানা বর্ষণে রাঙ্গামাটির সদর ও কাপ্তাই লেক এলাকায় মাটি নরম হয়ে শুরু হয় পাহাড় ধস। তখন পাহাড়ে থাকা মানুষেরা কেউবা ঘুমিয়ে ছিল, কেউবা সেহেরী খেতে ওঠে। ভাবতেই পারেনি তারা মৃত্যু কড়া নাড়ছে দরজায়। পাহাড় ও দেয়াল ধসের নীচে চাপা পড়ে মারা যান অনেকে। প্রিয় মা, সন্তান, ভাই, ছেলে হারিয়ে হারিয়ে শোকে কাতর স্বজনেরা। দুপুর পর্যন্ত উদ্ধার করা হয় ২২ জনের মরদেহ।
মাটির নিচে চাপা পড়াদের উদ্ধারে অভিযান চালায় পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। আইএসপিআর জানিয়েছে, মানিকছড়িতে সংযোগ সড়কের কাজের তদারকির দায়িত্বে থাকা একটি সেনা ক্যাম্প ধসে পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই মেজর মাহফুজ, ক্যাপ্টেন তানভীর, কর্পোারাল আজিজ ও সৈনিক শাহিনের মৃত্যু হয়। আহত কয়েকজনকে উদ্ধার করে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়।
এদিকে, বান্দরবানের বিভিন্নস্থানে গভীর রাতে শুরু হয় পাহাড় ধস। কালাঘাটার তিনটি এলাকায় ধসের ঘটনায় কলেজ শিক্ষার্থী রেবা ত্রিপুরা মাটি চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। আহত হয় আরো ৩ শিক্ষার্থী।
এচাড়া কুহালং এর পূর্ব ধোপাছড়িতে পাহাড় ধসে একই পরিবারের ২জনসহ ৩ জনের মৃত্যু হয়। এসময় আহত হন আরো ২ জন।
চট্টগ্রামের চন্দনাইশ দুর্গম পাহাড়ি এলাকা ধোপছড়িতে ভোড়ে পাহাড় ধসে ৩ শিশুসহ ৪ জনের মৃত্যু হয়। এসময় আহত হয় আরো ২ জন। অন্যদিকে রাঙ্গুনিয়ার ইসলামপুর ও রাজানগরে পাহাড় ধসে মৃত্যু হয় আরো ৮ জনের। হালিশহরে দেয়াল চাপা পড়ে একজন এবং বাকলিয়ায় বজ্রপাতে একজনের মুত্যু হয়।
আহত ও নিহতদের উদ্ধারে কাজে নামে ফায়ার সার্ভিস। নগরীর বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড় থেকে এরইমধ্যে দেড়শ পরিবারকে সরিয়ে নিয়েছে প্রশাসন।
এদিকে পাহাড় ধসের কারণে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বান্দরবান-রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়ক যোগাযোগ। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন স্থানীয়রা।
আরও পড়ুন