ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪

চবিতে বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

চবি প্রতিনিধিঃ

প্রকাশিত : ১৬:৩৮, ৩০ আগস্ট ২০১৮ | আপডেট: ১৭:৫৫, ৩০ আগস্ট ২০১৮

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের অডিটোরিয়ামে সকাল সাড়ে ১১ ঘটিকায় “বাঙ্গালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৩তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস- ২০১৮” অনুষ্ঠিত হয়।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি আয়োজিত আলোচনা সভায় বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সকল শহীদ ও জাতির পিতাসহ তার পরিবারের সব শহীদদের পারলৌকিক শান্তি কামনা করে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয় ।

সভায় বক্তরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কিত সঠিক ইতিহাস ও বিভিন্ন দিক নির্দেশনা এবং তার অবদানের উপর আলোকপাত করেন। বক্তরা বলেন, জাতির পিতা সারাটি জীবন উৎসর্গ করেছিলেন বাঙালির মুক্তির জন্য, বাঙালির স্বাধিকারের জন্য, যার জন্ম না হলে বাংলাদেশ নামক স্বাধীন রাষ্ট্রের জন্ম হতো না।

প্রফেসর ড. আহমদ সালাহ উদ্দিনে সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী , বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার, প্রধান আলোচক ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ ও সাবেক ইউ. জি. সি অধ্যাপক অর্থনীতি বিভাগের প্রফেসর ড. মইনুল ইসলাম, বিভিন্ন অনুষদের ডিন ও বিভিন্ন বিভাগের সভাপতি সহ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির তিন শতাধিক সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. অলক পাল।

চবি উপাচার্য প্রফেসর ড. ইফতেখার উদ্দিন চৌধুরী বলেন,৭৫ এ বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ২১ বছর নিষিদ্ধ ছিল ৭ই মার্চের ভাষণ।রেডিও টিভিতে এই ভাষণ প্রচার করা হতো না কখনোই।অনেকে মাইকে এই ভাষণ প্রচার করতে গিয়ে গ্রেফতার হয়েছেন,প্রাণ দিয়েছেন।আজ সেই ভাষণই শীর্ষ খেতাব পেয়েছে।

তিনি আরো বলেন,বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডে শুধু বাঙ্গালী এতিম হয় নি,বিশ্ববাসি হারিয়েছে একজন মহান নেতাকে। তিনি মোবাইল ফোনে দেওয়া হুমকির বিষয়ে বলেন,আমাকে ভয় দেখিয়ে চুপ রাখা যাবে না। আমি সত্যের পক্ষে বলবই।

প্রধান আলোচক প্রফেসর ড. মইনুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করার ক্ষমতা ও অভিজ্ঞতা আমার মোটেই নেই। যে দিন রেডিওতে বঙ্গবন্ধু -কণ্ঠের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ এর ভাষণ শুনেছি, সে দিন থেকে শেখ মুজিব আমার হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু সত্যের পথ অবলম্বন করেছেন, সত্য থেকে বিচ্যুত হননি। তাই আজকের প্রজন্মের সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও মূল্যবোধের সেতুবন্ধন তৈরি করে দিতে হবে। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মান্তরে তা অব্যাহত রেখে আমাদের দায়িত্ববোধের প্রমাণ রাখতে হবে। আমাদের দায়িত্ব পূরণের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু সাধারণ মানুষের প্রতি যে মমতা ও অঙ্গীকার রেখেছেন- অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে আমাদের সবাইকে কর্মের মধ্য দিয়ে সেই অঙ্গীকার বাস্তবায়নের জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান।

বিশেষ অথিতির বক্তব্যে প্রফেসর ড. শিরীণ আখতার বলেন,বঙ্গবন্ধুর জীবনে অনেক হুমকি আসলেও তিনি বাঙালি জাতির কথা চিন্তা করে তার রাজনীতি থেকে এক পা পরিমাণ পিছু হটেন নি। বঙ্গবন্ধু আমার বাবার সমতুল্য। তার বিরুদ্ধে কোন অপপ্রচার হলে আমার সহ্য হয় না।বঙ্গবন্ধুর আদর্শ আমাদের ধরে রাখতে হবে।

আরকে//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি