চাঙ্গা বেলতলা আমের বাজার, বেশি দাম পেয়ে খুশি চাষীরা
প্রকাশিত : ১০:২৭, ৮ জুন ২০২৪
জমে উঠেছে দক্ষিণবঙ্গের যশোরের শার্শার বেলতলা আমের বাজার। শুরুর দিকে গোবিন্দভোগ, গোপালভোগ, গোলাপখাসসহ আটির আম বাজরে আসে তখন স্বাভাবিক ছিল বাজার। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় রেমাল পরবর্তী সময়ে আমের বাজার লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। দ্বিগুনেরও বেশি ছাড়িয়েছে আমের দর।
এবছর আমের ফলন স্বাভাবিক হওয়াতে যশোর ও সাতক্ষীরা জেলার বিভিন্ন স্থান থেকে আসছে বিভিন্ন জাতের আম, সাথে সাথে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসছে পাইকাররা।
গত বছর উল্লেখযোগ্য তেমন কোন ঝড়ের কবলে পড়তে হয়নি আম চাষিদের। আমের দামও ছিল স্বাভাবিক। যার ফলে স্বাবলম্বী হয়েছে আমচাষিরা। এবার মুখ থেকে হাসি নামতেই চাইছেনা আমচাষিদের। হিমসাগর আম এক হাজার ৮০০ থেকে এক লাফে চার হাজার ৫০০ টাকা, লেংড়া আম এক হাজার ৭০০ থকে তিন হাজার ৩০০ টাকা, আম্রপলি এক হাজার ১০০ থেকে দুই হাজার ৬০০ টাকা পর্যন্ত মণে বিক্রি হচ্ছে।
এবছর গাছ থেকে আম পাড়ার প্রথম দিকে কালবৈশাখী ঝড়ে সাতক্ষীরার কয়রা, ঝাউডাঙ্গা ও কলারোয়া এবং যশোরের মনিরামপুর, ঝিকরগাছা ও শার্শা উপজেলার কোন অংশে আমের তেমন কোন ক্ষতি হয়নি। চলতি বছরের মে মাসের শুরুর দিকে আম পাড়া শুরু হয়।
আমচাষী ও বাগান মালিকেরা একযোগে আম পাড়ছেন, ফলে চাহিদার তুলনায় যোগান বেশি হওয়াতে রেমাল ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বে আমের দাম কম ছিল। মণ প্রতি বাজার মূল্য প্রকার ভেদে এক হাজার ১০০ থেকে দুই ২০০ টাকা। যেটি ঘূর্ণিঝড়ের পরে দুই হাজার ৫০০ টাকা থেকে এ গ্রেডের আম চার হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
বর্তমানে আমের বাজার মূল্য দ্বিগুন হওয়াতে খুবই খুশি আম চাষিরা। শার্শার টেংরা গ্রামের আমচাষী আজগর আলী ও জিয়ারুল বলেন, বর্তমান আমের বাজারে আমের মূল্য বৃদ্ধি গতবছরের চেয়ে দ্বিগুন, তাই লাভও দ্বিগুন হবে। আসছে দিনগুলোতে আমের দাম আরও বাড়তে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
শার্শা উপজেলা কৃষি অফিসার দিপক কুমার বলেন, আম চাষিরা এবার ব্যাপক লাভবান। এত বেশি আমের দাম পূর্বে কখনও পাননি আম চাষিরা। তাছাড়া কৃষি অফিসের তদারকি ছিল আমের মুকুল আসা থেকে আম পাড়া ও বাজারজাতকরণ পর্যন্ত।
তিনি আরও বলেন, চলতি মৌসুমে শার্শা উপজেলা থেকে দুই মেট্রিক টন লেংড়া ও হিমসাগর আম বিদেশে রপ্তানি করা হয়েছে।
এএইচ
আরও পড়ুন