চামড়া বাজারে ধস, বিপাকে মৌসুমী ব্যবসায়ীরা
প্রকাশিত : ১৭:৪৮, ৩০ জুন ২০২৩ | আপডেট: ১৮:৫৮, ৩০ জুন ২০২৩
এবারও কোরবানির পশুর চামড়ার বাজারে ধস নেমেছে। বিভিন্ন জেলায় দেখা গেছে এলাকা থেকে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা দরে চামড়া কিনে এনে গাড়ি ভাড়াও তুলতে পারছেন না মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ীরা। বিপাকে পড়েছেন তারা। অনেক জায়গায় এত কম দামে বিক্রি না হওয়ায় অবহেলায় মাটিতে লুটাচ্ছে চামড়া। চামড়া বাজারে এই ধসে মৌসুমি ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, সরকারি নীতিমালা তোয়াক্কা না করেই সিন্ডিকেট করে নিজেদের ইচ্ছে মতো চামড়া কিনছেন আড়ৎদাররা।
জানা গেছে, এবার বাজারে প্রতিটি গরু চামড়া বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৩০০ থেকে ৬০০ টাকায়। ছাগলের চামড়া কেনার আগ্রহ নেই ব্যবসায়ীদের।
জয়পুরহাট সদর উপজেলার শুক্তাহার গ্রামের মতিউর রহমান, কালাই উপজেলার হাতিয়র গ্রামের গোলাম রব্বানী, ক্ষেতলাল উপজেলার দাশড়া গ্রামের হানিফ হোসেনসহ জেলার বিভিন্ন এলাকার কোরবানিদাতারা জানান, গত বছরের মতোই এবারও চামড়া দাম নেই।
চামড়ার বাজার ধসের কারণে লোকসানের শিকার প্রায় সব মৌসুমি ব্যবসায়ী। মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ীরা জানান, কোরবানির চামড়ার এই আকস্মিক দরপতনে দিশেহারা তারা। এবারের দরপতনে লোকসান গুণতে হচ্ছে তাদের।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেক ফড়িয়া জানান, সীমান্তে কড়াকড়ি না থাকলে তারা ওপারে চামড়া পাঠিয়ে কিছু লাভের মুখ দেখতেন। এবার সেটিও হচ্ছে না। পুঁজি সংকট, ট্যানারি মালিকদের কাছে বকেয়া পাওনা ইত্যাদি কারণে চামড়ার দাম পড়ে গেছে।
চামড়া ব্যবসায়ীরা বলছেন, ‘ট্যানারি মালিকদের কাছে বকেয়া পাওনা রয়েছে কোটি কোটি টাকা। হাতে টাকা না থাকায় তারা কাঙ্ক্ষিত পরিমাণে চামড়া কিনতে পারছেন না। ফলে বাজারে চাহিদা কম থাকায় চামড়া মূল্য স্বাভাবিক কারণে কমে গেছে। অন্যদিকে, চামড়া পাচার রোধে সীমান্তে বিজিবির টহল বাড়ানো হয়েছে। এতে করে দেশের স্থানীয় বাজারে আপাতত চামড়া কেনাবেচা করতে হচ্ছে।
এসবি/
আরও পড়ুন