চামড়া শিল্প নগরীর কার্যক্রম ক্রুটির কারণে সমালোচিত
প্রকাশিত : ০৮:২২, ২৮ এপ্রিল ২০১৭ | আপডেট: ০৯:৪০, ২৮ এপ্রিল ২০১৭
নির্মাণ ও নকশা ক্রুটির কারণে এরিমধ্যে সমালোচিত চামড়া শিল্প নগরীর কার্যক্রম। ট্যানারির চাহিদা অনুযায়ী তৈরী হয়নি সিইটিপি। নিম্নমানের যন্ত্র, প্রয়োজনীয় প্লান্ট না থাকা ও অদক্ষ ঠিকাদারসহ আরও সব অনিয়ম যুক্ত হওয়ায় এই শিল্পের ভবিষ্যত নিয়ে শঙ্কিত মালিক-শ্রমিকেরা। এসবের নেপথ্যে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র কাজ করছে বলে ধারণা ভূক্তভোগীদের।
এতোদিন রাজধানী দূষণের পাশাপাশি হয়েছে নদীদূষিত। হাজারীবাগে ছিল না শ্রমিকবান্ধব কর্মপরিবেশ, না ছিল সংশ্লিষ্ট দফতরের ছাড়পত্র। সবমিলে ‘কমপ্লায়ান্স’ বলতে যা বোঝায় তার ধারেকাছেও ছিল না ঢাকার ট্যানারি শিল্পে। এসব নিয়ে সোচ্চার ছিল দেশি-বিদেশি পরিবেশ ও মানবাধিকার সংগঠন। অবশেষে জনদাবির প্রেক্ষিতে হেমায়েতপুরে স্থানান্তর হয়েছে চামড়াশিল্প।
কিন্তু নতুন জায়গাতেও কী রক্ষা হয়েছে সব ধরণের নিয়মকানুন? নাকি আগের ভুলবৃক্ষের শেকড় গেড়ে দেয়া হয়েছে হেমায়েতপুরে!
ইএমপি বা পরিবেশগত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনার কিছুই নেই নতুন চামড়া শিল্প নগরীতে। বজ্র আটুনি ফস্কা গেঁরোর মতো এখানেও চলছে দূষণের পাল্লা। কিছুদিন পর নতুন কোন মামলার সূত্র ধরে সাভারের কারখানাগুলোও বন্ধ হবে-এমন আশঙ্কা এখনই করছেন মালিকেরা।
সোডিয়াম সালফাইড, ক্রোমিয়াম সালফেট, এ্যামোনিয়া, অতিরিক্ত নাইট্রোজেন, সালফিউরিক এসিডসহ অন্যান্য পদার্থের ক্ষতি ঠেকাতে না পারলে আগামী ৫/৭ বছরেই চরম দূষণে পড়বে বাতাস, পানি, মাটি।
সময় থাকতে তাই অনিয়মগুলো চিহ্নিত করে তা সমাধানের দাবি চামড়া শিল্প সংশ্লিস্টদের।
আরও পড়ুন