ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪

কয়লা খনি কেলেংকারি

চার কর্মকর্তার বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা  

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২০:২০, ২৪ জুলাই ২০১৮

দিনাজপুরের বড় পুকুরিয়া কয়লা খনির কয়লা গায়েব হয়ে যাওয়ার ঘটনায় চার শীর্ষ কর্মকর্তার বিদেশ গমনের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। প্রায় দেড় লাখ টন কয়লা উধাও হয়ে যায় খনি থেকে। এ জন্য কয়লা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী হাবিব উদ্দিন আহমেদসহ চারজনের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়।

বাকি যে তিন কর্মকর্তার ওপর বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় তারা হলেন- পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানির (বিসিএমসিএল) জিএম আবুল কাশেম প্রধানীয়া, জিএম আবু তাহের মো. নুরুজ্জামান ও ডিজিএম একেএম খালেদুল ইসলাম।  

মঙ্গলবার দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তা উপপরিচালক মো. সামসুল আলমের স্বাক্ষরে পুলিশের বিশেষ শাখা ও ইমিগ্রেশন বিভাগে পাঠানো চিঠিতে এই চারজনের বিদেশ গমনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়।

অনুন্ধানের প্রয়োজনে আরও অন্তত এক ডজন কর্মকর্তার বিদেশ গমনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হচ্ছে বলে দুদক সূত্রে জানা গেছে।

এদিকে দুদকের পরিচালক ও কয়লা খনি দুর্নীতির ঘটনা অনুসন্ধানে তদারককারী কর্মকর্তা কাজী শফিক ও অনুসন্ধান কর্মকর্তা মো. সামসুল আলমের নেতৃত্বে দুদকের একটি টিম মঙ্গলবার পেট্রোবাংলা ও পিডিবির চেয়ারম্যানের সঙ্গে জরুরি বৈঠক করে তাদের বক্তব্য নিয়েছে। তারা পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান আবুল মনসুর মো. ফয়জুল্লাহ ও পিডিবির চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদের কাছে কয়লা খনির অনিয়মের বিষয়ে বেশকিছু তথ্য চেয়েছে বলে জানা গেছে।

দুদক সূত্রে জানা যায়, অনুসন্ধান টিম যেসব তথ্য চেয়েছে তার মধ্যে ২০০১ সাল থেকে ২০১৮ সালের জুন পর্যন্ত বড় পুকরিয়া কয়লা খনির উৎপাদন, বিতরণ ও মজুদের তথ্য। এই প্রতিষ্ঠান শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত উৎপাদনের প্রকৃত হিসাব। কয়লা নিয়ে অনিয়মের ঘটনায় করা অডিট রিপোর্ট ও বিভিন্ন তদন্ত প্রতিবেদন।

এ ছাড়া ২০০১ সাল থেকে এ পর্যন্ত কতজন কর্মকর্তা খনির এমডি ডিএমডি, জিএম ও ডিজিএমের দায়িত্বপালন করেছেন তাদের বিষয়ে তথ্য চাওয়া হয়েছে।

এদিকে দুদক সচিব মো. শামসুল আরেফিন মঙ্গলবার দুপুরে তার কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বলেছেন, বড় পুকুরিয়া খনির অনিয়মের ঘটনা ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে অনুসন্ধান শেষ করা হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। অনুসন্ধান শেষে খনির কয়লা সরানোর ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তিনি বলেন, অনুসন্ধানের স্বার্থে যে কাউকে দুদক টিম তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আসবে তাদের কাইকে ছাড় দেয়া হবে না।

এর আগে কয়লা উধাওয়ের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ২৩ জুলাই তিন সদস্যের অনুসন্ধান কমিটি গঠন করে দুদক। কমিটিকে আগামী ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত শেষ করার কথা বলা হয়েছে।

কমিটির প্রধান উপপরিচালক শামসুল আলম এবং অপর দুই সদস্য হলেন দুদকের সহকারী পরিচালক এএসএম সাজ্জাদ হোসেন ও উপ-সহকারী পরিচালক এএসএম তাজুল ইসলাম।

এসি

  


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি