চিকিৎসার অভাবে চোখ হারাতে বসেছে শিশুটি
প্রকাশিত : ১৬:০৭, ৪ এপ্রিল ২০১৮
শামীম হোসেন। বয়স ১০। পাবনার চাটমোহর উপজেলার স্কুলছাত্র। জন্মের সময় কপালের ডান কোনায় একটি কালো তিলক ছিল শিশুটির। দিনকে দিন সেটি বড় হতে হতে বিশাল আকার ধারণ করেছে। আর এর ভেতরে তৈরি হয়েছে ক্ষত। এ কারণে নষ্ট হতে চলেছে শিশুটির একটি চোখ। চিকিৎসকরা অপারেশনের পরামর্শ দিয়েছেন। কিন্তু দিনমজুর বাবার পক্ষে সেই অর্থ জোগাড় করা সম্ভব হয়নি। ফলে অর্থাভাবে চিকিৎসা করাতে না পেরে চোখ হারাতে বসেছে ১০ বছর বয়সের এ শিশুটি।
শিশু শামীম উপজেলার ফৈলজানা ইউনিয়নের আফসুর হোসেনের ছেলে। ছোট্ট একটি ভাঙাচোরা ঘরে থাকে পাঁচ সদস্যের এই পরিবার। দিন আনে দিন খেয়ে চলে পরিবারটি। যন্ত্রণায় শামীমের চোখ দিয়ে পানি ঝরছে। পুটলির মতো কালো তিলকটি মুখমণ্ডলের একপাশ দিয়ে কান পর্যন্ত ঝুলে পড়েছে। এতে বন্ধ হয়ে গেছে তার একটি চোখ। নিচের অংশে তৈরি হয়েছে ক্ষত। শামীম জানায়, তিলকটির মধ্যে সারাক্ষণ চুলকায়। যন্ত্রণায় সে স্থির থাকতে পারে না। রাতে ঘুমাতেও পারে না সে। এ কারণে বেশকিছু দিন হলো স্কুলেও যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে।
শিশুটির মা সাবেদান নেছা জানান, তিলকটি ক্রমেই বড় হয়ে এমন অবস্থা হয়েছে। ছেলেকে জেলা সদর হাসপাতালে দেখালে চিকিৎসকরা অপারেশনের পরামর্শ দিয়েছেন। এতে প্রায় তিন লাখ টাকার প্রয়োজন।
পাবনা জেনারেল হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের চিকিৎসক রফিকুল হাসান বলেন, এটিকে মেলানোমা রোগ বলা হয়। কয়েকটি ধাপে এর অস্ত্রোপচার করাতে হয়।
ছেলের চিকিৎসার জন্য সমাজের হৃদয়বানদের কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন শামীমের বাবা-মা। কেউ সহযোগিতা করতে চাইলে তার ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বর ০১৭৬১-১৩৪৬০৩-তে যোগাযোগ করতে পারবেন।
একে// এআর
আরও পড়ুন