চিপসের খালি প্যাকেট পাঁচ টাকা!
প্রকাশিত : ২৩:৩৯, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ | আপডেট: ২৩:৪৬, ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৯
চিপসের প্যাকেট, খালি বোতল, কফির কাপসহ খাদ্যপণ্যের যে কোনও বর্জ্য ফেরত দিলেই ফেরত পাওয়া যায় পাঁচ টাকা। ঘটনাস্থল আর কোথাও নয়, খোদ শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। যেখানে দেশ ও বিদেশগামী মানুষের জটলা থাকে সারা বছর। হাজার হাজার মানুষের আনাগোনা থাকে প্রতিদিন। এমন একটি ব্যস্ত স্থান পরিষ্কার রাখার জন্য প্রশাসনের এমন অভিনব কৌশল।
প্রচন্ড গরম, কোমল পানীয় পান করতে কার না মন চাইবে? কিন্তু এমন সময় সবগুলো সপেই আপনাকে গুণতে হবে পণ্যপ্রতি পাঁচ টাকা করে বেশি। যেমন এক প্যাকেট চিপস ১৫ টাকা। কোমল পানীয় ত্রিশ থেকে পয়ত্রিশ টাকা। কফি পঁচিশ টাকা। এভাবেই প্রতিটি পণ্যের দাম সেখানকার নির্ধারিত দামের থেকেও পাঁচ টাকা করে বেশি লেখা রয়েছে। তবে নিচে বিঃদ্রঃ দিয়ে লেখা রয়েছে চিপসের প্যাকেট, খালি বোতল, খালি কাপ জমা দিলেই পাবেন পাঁচ টাকা ফেরত।
সপ মালিকদের সঙ্গে কথা বললে জানা যায়, মানুষ নগদে বিশ্বাসী, তাই এ ব্যবস্থা। যখন মানুষ বুঝতে পারে চিপসের প্যাকেটের জন্য অথবা খালি বোতলের জন্যই পাঁচ টাকা করে বেশি রাখা হচ্ছে। তখন তারা আর এই বর্জ্য এখানে সেখানে না ফেলে দোকানের সামনে রাখা ডাস্টবিনে ফেলে।
সেখানকার এক সিকিউরিটি অফিসার বলেন, প্রতিটি সপের সামনেই লেখা রয়েছে 'বিমান বন্দরে যে কোনও ধরনের ময়লা-বর্জ্য নির্ধারিত স্থানের বাহিরে ফেললে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা। কিন্তু এতো মানুষের ভীড়ে কে কীভাবে ময়লা ফেলে নজরে রাখা কঠিন। তাই প্রতি সপেই এই অভিনব ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
এয়ারপোর্টে ভাইকে নিতে আসা মাহিনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তার ভাই কুয়েত থেকে আসবে। সেই সকালে এসে দাড়িয়ে আছে সে। বেশ কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষায় থাকতে হয় তাকে। এ সময়ের মধ্যে দোকান থেকে অনেক কিছুই কিনে খায় সে। আর তার খাওয়া সব পণ্যের বর্জ্যই নির্ধারিত স্থানে ফেলে সে।
এতে করে দুটো লাভও নাকি হয়েছে তার। মাহিন জানায়, স্থানটি পরিষ্কার রইলো, অন্যদিকে পাঁচ টাকা ফেরতও পাওয়া গেলো।
মাহিন আশা প্রকাশ করে আরও বলে, আমাদের দেশের আইন যদি এমন কঠিন করা হয় তবে আমাদের দেশ আরও পরিবর্তন হবে বলে আশা করছি।
এনএইচআর/এনএস