চীনা ব্যবসায়ী বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ কেলেঙ্কারীর মূল হোতা
প্রকাশিত : ১৩:১৩, ১৯ মার্চ ২০১৬ | আপডেট: ১৩:১৩, ১৯ মার্চ ২০১৬
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ কেলেঙ্কারীর মূল হোতা এক চীনা ব্যবসায়ী। তার নাম কিম অং। ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরির পরিকল্পনাকারী হিসেবে তাকেই সন্দেহ করছে ফিলিপাইনের সিনেট কমিটির চেয়ারপার্সন সার্জেই অসমেনার। তিনি জানান, টাকা তুলতে রিজাল ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক মায়া দেগুইতোকে ব্যবহার করেছেন কিম অং। এদিকে সই জালিয়াতির অভিযোগে মায়ার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ব্যবসায়ী উইলিয়াম গো।
চীনা ব্যবসায়ী কিম অং। বেশিরভাগ সময় ফিলিপাইনেই কাটান। মাত্র ৩৯ বছর বয়সে একটি গার্মেন্টস ও তিনটি রেস্টুরেন্টের মালিক তিনি। এছাড়া, গলফ ও টেনিস ক্লাবের সদস্য অং। শুধু তাই নয়, প্রতারণা ও অবৈধ কর্মকাণ্ডের খাতায় বহু আগেই নাম লিখিয়েছেন এই ধনকুবের। তবে ফিলিপাইনের পুলিশ ও রাজনৈতিক নেতাদের সাথে ভালো সম্পর্কের কারণে পার পেয়ে যান বারবার। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরির ঘটনায় আবারো উঠে এসেছে তার নাম।
ফিলিপাইনের সিনেট কমিটির চেয়ারপার্সন সার্জেই অসমেনা মনে করেন, রিজাল ব্যাংকের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের অর্থ চুরির মূল পরিকল্পনাকারী এই কিম অং। ব্যাংকের শাখা ব্যবস্থাপক মায়া দেগুইতোকে ব্যবহার করেছেন তিনি। ফিলিপাইনের দৈনিক ইনকোয়ারারকে দেয়া সাক্ষাতকারে কিম অংকে নিয়ে আরও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন সিনেট কমিটির চেয়ারপার্সন।
অসমিনা জানান, মায়া আর কিম আগে থেকেই পরিচিত। কিমের পরামর্শে মায়া ব্যাংকে ৫টি ভূয়া অ্যাকাউন্ট খোলেন। এর মধ্যে চারটিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের অর্থ জমা হয়।
এর আগেই রিজাল ব্যাংকের সাবেক এক কর্মকর্তা শুনানিতে জানিয়েছিলেন, মায়ার গাড়ি ব্যবহার করেই অর্থগুলো সরানো হয়। মায়া তাকে জানিয়েছিলেন, অর্থগুলো না ছাড় করলে খুন হতে পারেন তিনি। এসব তথ্য অনুসারে মায়ার সাথে রুদ্ধদার বৈঠকের পর এর পেছনে বড় চক্র জড়িত আছে বলে জানান সিনেটররা।
স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে কিম এখন বিদেশে আছেন। দেশে ফিরলে এ ঘটনায় তার ভূমিকা কি ছিলো, তা সিনেট কমিটিতে ব্যাখ্যা করার সুযোগ পাবেন।
এদিকে সই জালিয়াতি করায় মায়া দেগুইতো ও আরেক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে ব্যবসায়ী উইলিয়াম গো।
আরও পড়ুন